Saturday , April 20 2024
You are here: Home / ঢাকা ও ময়মনসিংহ / ফরিদপুরে পুলিশের গুলিতে বাবা ও ছেলে আহত
ফরিদপুরে পুলিশের গুলিতে বাবা ও ছেলে আহত

ফরিদপুরে পুলিশের গুলিতে বাবা ও ছেলে আহত

ফরিদপুরে পুলিশের গুলিতে বাবা ও ছেলে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের ঝাউডাঙ্গি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে আহত ওই বাবা ও ছেলেকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে।

তবে পুরো খতিয়ে দেখার জন্য ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশাকে। অবিলম্বে এ তদন্তের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নগরকান্দা থানায় কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিয়ার উপজেলার তালমা ইউনিয়নের ঝাউডাঙ্গি গ্রামে এক নারীকে (২৭) বিয়ে করেন ছয় মাস আগে। ওই নারীর স্বামী সৌদি প্রবাসী থাকায় পুলিশ সদস্যের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ওই নারী তার প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে এসআই আতিয়ারকে বিয়ে করেন।

ঝাউকান্দি গ্রামে দ’টি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন আতিয়ারের নতুন স্ত্রী ও তার ভাই ফরিদ শেখ এবং অপর পক্ষকে নেতৃত্ব দেন আব্দুল মতিন শেখ। এ দলপক্ষ নিয়ে কোন জটিলতা সৃষ্টি হলে এসআই আতিয়ার একটি পক্ষের হয়ে কাজ করেন।

গত চার দিন আগে ওই গ্রামে দুই কিশোরীকে নিয়ে একটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্য গত বুধবার ওই গ্রামে যান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় এসআই মো. আতিয়ার রহমান ও নগরকান্দা থানার কনস্টেবল রাব্বিকে নিয়ে ঝাউডাঙ্গা গ্রামে আসেন। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা মোসলেম শেখকে (৫৫) আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মোসলেমের ছেলে সবুজ শেখ (৩৪) বাধা দেয়। তখন সবুজের সাথে আতিয়ারের ধস্তাধস্তি হলে আতিয়ার কনস্টেবল রাব্বীর কাছ থেকে শটগান নিয়ে গুলি করলে সবুজের হাতে ও উরুতে এবং মোসলের হাতে রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়। পরে এলাকাবাসী ওই দুই পুলিশ সদস্যের উপর চড়াও হলে তারা মোটরসাইকেল ফেলে চলে যান।

পরে এলাকাবাসী আহত মোসলেম ও তার ছেলে সবুজকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নগরকান্দা ও সালথা সার্কেলের দায়িত্বরত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এফ এম মহিউদ্দিন বলেন, পুলিশ একটি মামলার তদন্তে ঝাউডাঙ্গি গ্রামে গেলে এলাকাবাসী সাথে ধ্বস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ‘ফায়ার’ হয়ে যায়। ফলে দুইজন রাবার বুলেট বিদ্ধ হন। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর এসআই আতিয়ার ও কনস্টেবল রাব্বি আহত হয়ে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জনতা পুলিশের মোটরসাইকেল ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। আতিয়ার বাদী হয়ে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় আহত মোসলেম ও সবুজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার এফ এম মহিউদ্দিন বলেন, সমগ্র ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশাকে। অবিলম্বে এ তদন্তের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!