Saturday , April 20 2024
You are here: Home / Uncategorized / আঞ্চলিক খবর / গাংনীতে চাকরীর নামে নেয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরতের দাবিতে ৩য় দিনের মত মৌমিতা খাতুনের আমরণ অনশন চলছে
গাংনীতে চাকরীর নামে নেয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরতের দাবিতে ৩য় দিনের মত মৌমিতা খাতুনের আমরণ অনশন চলছে

গাংনীতে চাকরীর নামে নেয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরতের দাবিতে ৩য় দিনের মত মৌমিতা খাতুনের আমরণ অনশন চলছে

মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ গরীবের বিচার নিরবে কাঁদে ! চাঁদাবাজ , প্রতারক সেই মেয়র আশরাফুলের কাছে চাকরী দেয়ার নামে গৃহীত ১৫ লাখ টাকা ফেরতের দাবিতে গাংনী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে শহীদ মিনারে মৌমিতা খাতুন পলি ও তার মা ৩য় দিনের মত আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর, দিবা রাত্রি) পাওনা টাকার দাবিতে গাংনী পৌর এলাকার শিশিরপাড়া গ্রামের শাহাবুদ্দীন আহমেদ ওরফে বাহাদুরের মেয়ে মৌমিতা খাতুন পলি ও তার মা শহীদ মিনারে আমরন অনশন করছে। শর্তপূরন না হওয়া পর্যন্ত পলি আমরণ অনশনে থাকবেন বলে জানিয়েছ্।ে৩ দিন অতিবাহিত হলেও আজও খোঁজ নিতে আসেনি কেউ।
এনিয়ে গাংনীতে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।কেউ কেউ বলাবলি করছেন, গরীবের বিচার এদেশে হবেনা। উপর মহলকে ম্যানেজ করে মেয়র বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান তাদের নিরাপত্তা দিতে মহিলা পুলিশসহ ৩/৪ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছেন।
পলি খাতুন জানান, চাঁদাবাজি, হত্যা ও গুম চলমান মামলার আসামী মেয়র একজন ঠকবাজ, প্রতারক, । ৩ বছর আগে পৌর সভায় ‘সহকারী কর আদায়কারী ’ পদে চাকরী দেয়ার নামে দফায় দফায় মেয়র আমার নিকট থেকে নগদ ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছে। পরবর্তীতে হত্যা মামলায় মেয়র জেলহাজতে থাকাকালীন সময়ে তার স্ত্রী শাহানা খাতুনের ইসলামী ব্যাংক হিসাব নম্বরে বিভিন্ন চেক মারফত ৮ লাখ ১০ হাজার মোট ১৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।এখন সে সম্পূর্ণ অস্বীকার করছে।
এনিয়ে আমরা মেয়রের বিরুদ্ধে গত ২০ আগষ্ট তারিখে অনশন করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুর রহমানের আশ্বাসে অনশন তুলে বাড়ি গেলেও পরবর্তীতে ওসি মহোদয় সালিস মিমাংসা করতে অপারগতা প্রকাশ করায় পলি আবারও অনশনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পলি আরও জানান, আমি সন্তান সম্ভবা একজন অসহায় নারী। এই সমস্যার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত অনশন বন্ধ করবো না। গত সোমবার থেকে আমরণ অনশনে অবস্থান করছি। আমাদের কষ্টের কথা কারও কানে যাচ্ছে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন,পলি খাতুনের দাবী সম্পূর্ণ মিথ্যা।আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র। আমার জমি ক্রয়ের জন্য পলির স্বামী মোমিনুর রহমানের নিকট থেকে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়েছি। চাকরী দেয়ার নামে তার নিকট থেকে কোন টাকা পয়সা গ্রহন করি নাই।
তবে এব্যাপারে গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুর রহমান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে।

 

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!