কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এক দিন মজুরের ভিটাবাড়ী প্রতারনার মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছে ঐ এলাকার আজিবর মন্ডল ওরফে খলিল মন্ডলের পুত্র পান্টি ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী আলম (৫০)। ঐ দিনমজুর রামচন্দ্রপুর গ্রামের শের আলী জোয়ার্দ্দারের পুত্র ওহিদুল জোয়ার্দ্দার (৪২)। জমির মালিক ভুক্তভোগী ওহিদুল জানায়, সংসারে অভাব অনটনের কারনে তিন বছর আগে আমার ভিটাবাড়ীর জমি দুই কিস্তিতে আলমের নিকট দুই দুই চার শতক বিক্রয় করি। যার মূল্য পাই ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
৩ বছর পরে হটাৎ করে গত ১৫ দিন আগে আলম লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বাড়ীর দখল নিতে যায়। তখন আমি জানতে পারি প্রথম রেজিষ্ট্রিতে ২ শতকের জায়গায় ১২ শতক জমি লিখে নেয়। ২য় বারে দুই শতকের জায়গায় ৩.৭৫ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়। আমি অশিক্ষিত মানুষ। লেখাপড়া কিছু জানিনা। এই জমি দখল করতে না পেরে আলম ও তার লোকজন কয়েকদিন আগে রাতে আমার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আলম প্রভাবশালী হওয়ায় আমার কোন বিচার হচ্ছে না।
গোবরা চাঁদপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলী জানান, আলমের পিতা আজিবার মন্ডল ওরফে খলিল মন্ডল রাজাকার ছিলেন। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী ও মিলিটারি ডেকে এনে চাঁদপুর গ্রামের ১৮টি বাড়ী পুড়িয়ে দেয় ও অমানুষিক নির্যাতন চালায় আজিবার ওরফে খলিল। এর কিছুদিন পর মুক্তিবাহিনী নাভদিয়া মাঠের মধ্যে আজিবার মন্ডল ওরফে খলিল রাজাকারকে গুলি করে হত্যা করে।
ভুক্তভোগী ওহিদুল জোয়ার্দ্দার রয়েছে চরম নিরাপত্তাহীনতায়। যে কোন মুহুর্তে তাকে মারধর করে বাড়ি দখল করে নিতে পারে বলে তিনি জানান।
এই ব্যাপারে চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান তুষারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, শালিস বিচারের জন্য দুইবার নোটিশ প্রদান করলেও অভিযুক্ত আলম পরিষদে আসেনি।
পান্টি ডিগ্রি কলেজে সরেজমিনে গিয়ে আলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১২ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করেছি। ২য় বারে ৩.৭৫ শতক জমি ৩ লক্ষ টাকায় রেজিষ্ট্রি করেছি।