কুষ্টিয়ার খোকসায় বিবাদমান আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের হামলা-পাল্টা হামলায় নারীসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে খোকসা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও ওসমানপুর ইউপির চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বাবলু। এ মামলায় আসামি করা হয় ৩৩ জনকে।
অপর দিকে, প্রতিপক্ষ সালিম বাদী হয়ে খোকসা থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। যেখানে আসামি করা হয় ৩১ জনকে। এসব মামলায় অন্তত ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
দুই গ্রুপের মামলার কথা নিশ্চিত করে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ইদ্রিস আলী বলেন, ওসমানপুর ইউনিয়নের সংঘর্ষের ঘটনায় খোকসা থানায় দুটি মামলা হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) আনিসুর রহমানের দায়ের করা মামলার নম্বর ২ এবং একই দিন সালিম শেখের দায়ের করা মামলার নম্বর ৩। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এই বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
প্রসঙ্গত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের সূত্র ধরে গত শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আনিসুর রহমানের লোকেরা প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করে। প্রথম হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতারের সমর্থক হাবিব মোল্লা আহত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে আতিয়ার ও আলীমের বাড়ি ভাঙচুর করে।
এ ঘটনার জেরে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষের ছোড়া গুলিতে শহিদুল, মাসুম ও শাহিদা খাতুন গুলিবিদ্ধ হয়। এ হামলায় উজ্জল, মাছুমসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়।
পাল্টা হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের অনুসারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগের সভাপতি আনিসুর রহমানের বাড়িসহ তার কর্মী সমর্থকদের ৬টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।