কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে গড়াই নদীর খননে কয়েকশত কোটি টাকা ব্যয়ে চলছে ড্রেজিং কাজ। বহু বিতর্ক ছাড়িয়ে এখন গড়াই নদীতে চলছে পুরোদমে খনন কাজ। গড়াই নদীর ড্রেজিং করার পর বালি ফেলা হচ্ছে হাটশ হরিপুর নদীর কূল ফুলতলার পশ্চিমে প্রয়াত চেয়ারম্যান এম. মাহামুদ হোসেন সাচ্চুর বাগানের সামনের রাস্তাটি গড়াই নদীর ড্রেজিং এর বালির সাথে পানির বেপরোয়া গতিতে রাস্তা ভেঙে পানি ঢুকে গত বছরের নেয় এবারও শত পরিবারের ঘর বাড়ি ও ফসলী জমি মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। গত বার ক্ষতিগ্রস্থর পরিবাররা কোন ক্ষতিপূরণ পায়ননি। উক্ত স্থানে বার বার ড্রেজিং করার বালি ফেলা হয়। সেই বালি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট অর্থের বিনিময?ে অবৈধভাবে বিক্রি করে। বার বার প্রশাসনের কড়া নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করেই কতিপয় কিছু প্রভাবশালী মহলের স্বার্থ হাসিলের জন্য বালি কাটা হয়। বিষয়টি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বহুল আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে। এই জায়গার বালি ট্রলি ভর্তি করে বিক্রি করার কারণে বেশ কয়েক মাসেই আবারও গভীর খাদ সৃষ্টি করে। পুনরায় সেই খাদটি ড্রেজিং করার সময় উদাসীনতায় সাধারণ মানুষ চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বেশ কয়েক দিন ধরেই সেই খাদটি গড়াই নদীর খননকৃত বালি ও পানির মাধ্যমে ভরাট করা হচ্ছে। এবং খননকৃত বালিও পানির স্রোতে রাস্তা ভেঙ্গে শত পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশা পাশি ফসলী জমি নষ্ট হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। স্হানীয় কয়েক জন বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, গড়াই নদীর ড্রেজিংয়ের বালি সামান্য কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেই যেমন তেমন বালি ফেলানো হয় এবং বালির সাথের পানির স্রোতে রাস্তা, ঘর বাড়ি ও ফসলী জমি মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিষয়টি বেশ কয়েক বার ড্রেজিংয়ের কাজ করার দায়িত্বে থাকা লোকদের বলেও কোন লাভ হয়নি। এটা নিয়ে স্হানীয় বাসিন্দাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তাই এলাকাবাসীর দাবি ড্রেজিং করার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে এবং বালি ফেলানোর জায়গা সরেজমিনে পরিদর্শন করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার পর গড়াই নদীর বালি খনন করা হোক।