মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত দুই শতাধিক লোকের প্রাণহানি হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে নিহতের সর্বশেষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
যদিও দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে হতাহতের নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা এখনো জানায়নি বার্তা সংস্থা ‘ইরান’। এমনকি মানবাধিকার সংস্থাটি থেকে এবার নিহতের যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে এরই মধ্যে তাও প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, দেশটিতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এরই মধ্যে ২০৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ‘উদ্বেগজনক’ এই মৃত্যুর সংখ্যাটি ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনের ভিত্তিতে’ পাওয়া গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত আরও বেশি হবে।
এ দিকে চলতি বিক্ষোভে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) এজেন্ট হিসেবে কাজ করার অভিযোগে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৭ নভেম্বর ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের দাবি, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা সাংবাদিকতার নামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সিআইএর আর্থিক সহায়তায় প্রশিক্ষণ নেন। মূলত এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রের এসব নাগরিকদের মধ্যে ৬ জনকে দাঙ্গা চলাকালে সিআইএর নির্দেশ পালন ও দুইজনকে দেশের বাইরে তথ্য পাচারের সময় গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপর দিকে দেশব্যাপী চলমান আন্দোলনের পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জড়িত বলে এরই মধ্যে অভিযোগ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
তিনি বলেন, ‘এবারের ইরানবিরোধী ষড়যন্ত্র ছিল খুবই বিপজ্জনক ও পরিকল্পিত। যদিও আমরা আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি।’