ডাই অ্যামুনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম টন প্রতি ৯ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্বিত করেছে। এতে প্রতি বস্তা ডিএপি সারের মূল্য ৪৫০ টাকা কমবে। দাম কমিয়ে এখন প্রতি টন সারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার টাকা।
এর আগে মূল্য ছিল প্রতি টন ২৩ হাজার টাকা। দেশের কৃষকদের কথা বিবেচনা করে সুষম সার জমিতে ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষে এ দাম কমানো হয়। এক সময় কৃষকরা ফসলি জমিতে বেশির ভাগ ইউরিয়া সার ব্যবহার করতো। দেশের কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা গত কয়েক বছর যাবৎ কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে ডিএপি সারের গুণাগুণ সম্পর্কে অবহিত করার পর দেশে ডিএপি সারের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।
জমিতে ফসল উৎপাদনে কৃষকদের ব্যয় কমাতে ডিএপি সারের দাম কমানো হয় বলে কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়। বুধবার এ সারের দাম কমানো হয়।
উলেখ্য, আমদানিকারক, বিসিআইসির উৎপাদিত কারখানা ও বিএডিসি থেকে সারাদেশের সার ডিলাদের মাধ্যমে ডিএপিসহ সকল প্রকার সার কৃষকদের কাছে বিতরণ করা করা হয়। ডিলাররা আগে প্রতি বস্তা ডিএপি ১১৫০ টাকায় কিনে কৃষকদের কাছে ১২৫০ টাকায় বিক্রি করতো। এখন দাম কমানোর ফলে ৭০০ টাকায় কিনে কৃষকদের কাছে ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং অধিশাখার উপ-প্রধান বদিউল আলম জানান, ডিএপি সারের মূল্য কমানোর প্রস্তাবটি আগেই দেয়া হয়েছিল। সারের দাম কমানোর প্রক্রিয়াটি সরকারের সিদ্ধান্তের একটি অংশ। দাম কমানোর ফাইল অনুমোদন হয়েছে। শিগগিরই প্রজ্ঞাপন দিয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে জানানো হবে। এখন প্রতি বস্তা সার ১১৫০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকায় ডিলার কিনতে পারবে।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সচিব রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ এ প্রতিবেদককে দাম কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।