বিরল প্রজাতির নির্বিষ কুকরি সাপের দেখা মিলেছে চুয়াডাঙ্গায়। একসময় বন-জঙ্গলে এই সাপের অবাধ বিচরণ থাকলেও এখন তা বিলুপ্তির তালিকায়। অবশেষে বিরল প্রজাতির এ সরীসৃপটির দেখা মিলেছে চুয়াডাঙ্গা শহরঘেঁষা পাখিগ্রামখ্যাত বেলগাছির একটি মাঠে। মঙ্গলবার সেটি দেখার পর ক্যামেরাবন্দী করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়েছেন প্রাণী প্রেমী শিক্ষক বখতিয়ার হামিদ।
ফেসবুকের স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আজ আবার একটি বিরল সাপ খুঁজে পেলাম! সম্ভবত আমাদের এই অঞ্চলে রেকর্ড!! তবে সাপটি কিন্তু অবাধ বিচরণের জন্য ওই মাঠেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
কুকরি সাপের নামকরণ প্রসঙ্গে অনলাইন হাতড়ে জানা যায়, নেপালের এক ধরনের ছোট ছুরির নাম কুকরি। হিমালয়ের একটি বিশেষ সাপের নামও কুকরি। কুকরির মতো ধারালো দাঁত আছে বলেই এই সাপের নাম কুকরি (Kukri)। জানা গেছে, কয়েকটি প্রজাতির কুকরি পাওয়া যায়। হিমালয়ের কুকরির বৈজ্ঞানিক নাম Oligodon nikhili। এরা লম্বায় ৩৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। পাখি ও অন্যান্য সরীসৃপের ডিম এদের প্রধান খাদ্য। বিভিন্ন রঙের কুকরি দেখা যায়। এদের গায়ে ডোরাকাটা দাগ থাকে। এরা লোকালয় থেকে দূরে ঘন বনে বাস করে।
সাপটির ব্যাপারে পার্বত্য বান্দরবানের একটি ওয়াইল্ড লাইফ ফার্মের ইনচার্জ আদনান আজাদ আসিফ বলেন, ‘শান্ত প্রকৃতির নির্বিষ একটি সাপ কুকরি। সাধারণত বর্ষাকালে, রাতে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় চলাফেরা করে এরা। এটি সাধারণত কামড়ায় না, তবে ভয় পেলে শরীরে ঝাঁকুনি দেয়। অনেকে না জেনে এটিকে বিষাক্ত সাপ ভেবে মেরে ফেলে। দেশের নির্বিষ সাপগুলোর তালিকায় থাকা এই সাপটির ৭-৮টি প্রজাতির মধ্যে মাত্র ৩-৪টির অস্তিত্ব রয়েছে আমাদের দেশে। এদের অস্তিত্ব রক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে।’