কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ধলনগর,কুশলীবাসা,ও করিমপুর হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে কশলীবাসা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ চত্ত্বরে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধ পতাকা উত্তোলন শেষে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগর সহ-সভাপতি, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও যুদ্ধাকালীন কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর।চাদপুর ইউনিয়নের ডিপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা শামছুল আলম শুকুরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যুদ্ধকালিন গোরিলা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, জেলার ডিপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী রফিকুল ইসলাম, জেলা কমান্ডারের সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহসান বাবু, এই যুদ্ধে যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন মৃধা ও যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা দানবীর জয়নাল আবেদিন।বীরমুক্তিযোদ্ধা জুলমত আলীর তত্ত্বাবধানে এসময় বীরমুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ,মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বৃন্দ,সাংবাদিক বৃন্দ সহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।উলেখ্য যে,১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরের এই দিনে ধলনগর,কুশলীবাসা ও করিমপুরে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধের মুখোমুখি হয় স্বাধীনতাকামী মুক্তি বাহিনী ও এঅঞ্চলের মানুষের।এযুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি পাশাপাশি শত্রু পক্ষের গুলিতে ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ও বরকত হোসেন খেরু নামের দুইজন বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয় এবং জয়নাল আবেদিন, নাসির উদ্দিন,শহিদুল ইসলাম, নূর মহাম্মদ ও আজাদ নামের পাঁচ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা গুরুতর আহত হন।