ইরাকের রাজধানী বাগদাদে শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের সমাবেশে অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
শুক্রবার রাতে ইরাকের প্রধান বিক্ষোভকেন্দ্র বাগদাদের তাহরির স্কয়ারে বন্দুক ও ছুরি নিয়ে হামলা চালায় একদল দৃষ্কৃতিকারী। জানা যায়, অস্ত্রধারীরা পিক আপ ট্রাকে করে এসে সেখানকার একটি বড় ভবনে হামলা চালায়। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওই ভবনটিতে অবস্থান করছিলেন। অস্ত্রধারীদের নৃশংস হামলার মুখে বিক্ষোভকারীরা ওই ভবন থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন। পরে হামলাকারীরা ওই ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত এবং ৭০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ, বাকি সবাই বিক্ষোভকারী।
তাৎক্ষণিকভাবে ওই হামলাকারীদের পরিচয় জানা যায়নি।
ইরাকে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে গত অক্টোবর থেকে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। প্রথমদিকে বিক্ষোভ স্বাভাবিক থাকলেও পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ফলে সহিংসতা শুরু হয়। তবে এবার শুক্রবারের বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার ঘটনাটি সবচেয়ে সহিংস ছিল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে এই প্রথম অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা এমন নৃশংস হামলা চালালো।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে সরাসরি গুলি ছোড়ে নিরাপত্তা বাহিনী। নাজাফ শহরে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা ও অগ্নিসংযোগের জের ধরে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ প্রতিরোধ করতে রাজধানী বাগদাদসহ বিভিন্ন শহরে ওই হামলা চালায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এসব ওই হামলায় কমপক্ষে ৮৩ জন নিহত এবং আরে শত শত মানুষ আহত হয়েছিল।এই ঘটনার জের ধরে গত শুক্রবারই পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি। তবে তার পদত্যাগের পরও ইরাকে বিক্ষোভ থামেনি।