চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন বিভাগে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ দেয়। এটি চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ পুরস্কার। চলচ্চিত্রের বয়স বহুদিন হলেও এটি দেওয়া হচ্ছে ১৯৭৫ সাল থেকে। শুরুতে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারটি দেওয়া হতো না। ২০০৯ সালে এটি প্রথম চালু করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের কয়েকজন খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পী।
এ বছর সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে মোশাররফ করিমের নাম। ‘কৌতুক অভিনেতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পেয়েছিলেন তিনি। কৌতুক অভিনেতা হিসেবে তার এই পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। কিন্তু তিনি পুরস্কার গ্রহণ করেননি।
১৯৭৫ সালে সুপারহিট নায়ক ফারুকের মাধ্যমে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ না করার প্রচলন শুরু হয়েছিল। ‘লাঠিয়াল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল তাকে। ১৯৭৭ সালে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন শাবানা। ‘জননী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল তাকে। ১৯৮২ সালে ‘বড় ভালো লোক ছিল’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার পেলেও তা গ্রহণ করেননি সৈয়দ শামসুল হক। সুবর্ণা মুস্তাফা ১৯৮৩ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন। ‘নতুন বউ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুবর্ণা সেটা গ্রহণ করেননি।
১৯৯০ সালে মেয়ে সুবর্ণা মুস্তাফার দেখানো পথে হেঁটেছিলেন তার বাবা খ্যাতিমান অভিনেতা গোলাম মুস্তফাও। সে বছর ‘ছুটির ফাঁদে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল এই গুণী অভিনেতাকে। কিন্তু পুরস্কারটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনিও।