মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাউন্টারটেররিজম সম্পর্কিত সমন্বয়কারী রাষ্ট্রদূত নাথান সেলস’কে তিন কংগ্রেসম্যানের যুক্ত স্বাক্ষরে প্রদত্ত এক পত্রে জামায়াতে ইসলামীর উৎপাতে ভারত ও বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১ নভেম্বর কংগ্রেসম্যান জিম ব্যাংকস, চাক ফ্লিশম্যান এবং র্যান্ডি ওয়েবার স্বাক্ষরিত পত্রটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হচ্ছে বলে ১০ ডিসেম্বর প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে।
এই পত্রে আবুল আলা মওদুদি কর্তৃক ১৯৪১ সালে ভারতবর্ষে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট উপস্থাপনের পর ধর্মের লেবাসে বরাবরই বর্বরোচিত আচরণ, গণহত্যার মত নৃশংসতা এবং উগ্রপন্থি-জঙ্গিবাদে লিপ্ত রয়েছে বলে যুক্তি-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে। এই পত্রে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিষিদ্ধ সংগঠনে অর্থ প্রদানকারী যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ইকনা (ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকা)’র কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জামায়াতের পারপাস সার্ভ করছে ইকনা, যারা এইচএইচআরডি (হেল্পিং হ্যান্ডস ফর রিলিফ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট)’র সহযোগী সংস্থা। এ দুটি সংস্থা মানবতার কল্যাণে কাজের আড়ালে প্রকারান্তরে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে, জঙ্গি হামলায় লিপ্তদের অর্থ দিচ্ছে। পত্রে বিস্ময়ের সাথে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, দুঃখজনক হলেও সত্য যে আন্তর্জাতিক ত্রাণ-সহায়তার নামে এরা যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত ভারতে জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশের ইসলামি ছাত্রশিবির, পাকিস্তান-ভারত-কাশ্মীরে হিযবুল মুজাহেদীনকে অর্থ দিচ্ছে। ইকনা এবং এইচএইচআরডিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বলে ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতির আলোকে কাশ্মীরসহ ভারত ও বাংলাদেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি অটুট রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার প্রতিপালনের লক্ষ্যে ইকনা, এইচএইচআরডি, জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ডের ওপর গভীর নজরদারি ও বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদে মদদদানের জন্যে এসব সংগঠনের অর্থ সহায়তা নিয়েও তদন্ত হওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গ্রুপ- লস্করে তাইয়্যেবা ও হিযকুল মুজাহেদীনের মত সংস্থা ইকনা ও এইচএইচআরডি কী পরিমাণের অর্থ দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে-সে হদিসও উদঘাটিত হওয়া জরুরি। এজন্য কাউন্টারটেররিজম অফিসকে তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের উদাত্ত আহ্বানও জানিয়েছেন কংগ্রেসমেনরা।