আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০০১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন যেভাবে মাইনরিটি (সংখ্যালঘু) নির্যাতন, ধর্ষণ ও তাদের সম্পদ লুণ্ঠন হয়েছে তা শুধুমাত্র ৭১’ এর বর্বরতার সঙ্গে তুলনীয়। সেই সময় নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতায় বিএনপি নতুন রেকর্ড স্থাপন করে। ৭৫ পরবর্তী মাইনরিটি বান্ধব সরকার হলো শেখ হাসিনার সরকার। এই সরকারের আমলে সংখ্যালঘুরা সুখে ও শান্তিতে আছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। সবচেয়ে বড় কথা হলো শেখ হাসিনা মাইনরিটিদের সবচেয়ে আপনজন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালিরা সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছিল হতাশা। পরে বঙ্গবন্ধুর রক্তে ভেজা মাটিতে ঐক্যের পতাকা নিয়ে আসেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য পলিটিশিয়ানের সীমানা পেরিয়ে গেছেন। তাঁর নেতৃত্বে সারাদেশে চলমান শুদ্ধি অভিযান সফল করব। এখন দরকার ক্লিন ইমেজের পার্টি। আমরা দূষিত রক্ত রাখব না।
এর আগে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নিমতলায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ,শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আসেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মিসবা উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য আধ্যাপক রফিকুর রহমান, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী এমপি, শেখ নেছার আহমেদ এমপি প্রমুখ।
সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের বক্তৃতার পর ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেবেন। পরে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ৮টি পদে ২৯ জন প্রার্থী নির্বাচন করবেন বলে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।