Wednesday , March 19 2025
You are here: Home / জাতীয় / খালেদার জামিন শুনানিকে ঘিরে সুপ্রিম কোর্টে বাড়তি নিরাপত্তা

খালেদার জামিন শুনানিকে ঘিরে সুপ্রিম কোর্টে বাড়তি নিরাপত্তা

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিকে ঘিরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। আদালতের প্রতিটি প্রবেশপথে নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মূল ফটকগুলো দিয়ে প্রবেশের সময় লোকজনকে পরিচয়পত্রও দেখাতে হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার ওই জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। আদালতের কার্যতালিকায় আবেদনটি শুনানির জন্য ১২ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

এই শুনানিকে ঘিরে গতকাল বুধবার সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। তবে এর মধ্যে গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট এলাকার বাইরে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। জাতীয় ঈদগাহ ময়দান, হাইকোর্ট মাজার গেট ও বার কাউন্সিল ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। মূল সড়কের পাশেই এসব ঘটনা ঘটেছে। রাস্তায় তখন প্রচুর যানবাহন ও মানুষের ভিড় ছিল। এর মধ্যে কীভাবে এসব ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান গতকাল বলেন, ঘটনাটিকে নাশকতা বলেই মনে করছেন তাঁরা। জড়িত লোকজনকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এর আগে ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি পেছানোকে কেন্দ্র করে আদালত কক্ষে হইচই ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। সেদিন আদালতকক্ষে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হইচই ও হট্টগোল করেন। এতে বিচার কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।

হাইকোর্ট এলাকায় কড়া পাহারায় রয়েছে পুলিশ। ছবি: সাজিদ হোসেন

 

৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ খালেদার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলে ১২ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। এ অনুসারে গতকাল খালেদার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে, যা আজ আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির এজলাসকক্ষে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ৫ ডিসেম্বর এই এজলাসকক্ষেই হইচই ও হট্টগোল করেছিলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এই সাজা বাতিল চেয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতে দেওয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করে বিচারিক আদালতে থাকা মামলাটির নথি তলব করেন হাইকোর্ট। গত ২০ জুন মামলার নথি হাইকোর্টে আসার পর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবীরা। গত ৩১ জুলাই জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আপিল বিভাগে যান।

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!