শ্বশুরবাড়ি থেকে নববধূকে আনতে গিয়ে শিকলবন্দি হয়েছেন নতুন জামাই শিপন মিয়া (২৩)। খবর পেয়ে শিপনকে উদ্ধার করতে যান তার বাবা মিলন মিয়া। তাকেও বন্দি করা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুইজনকেই উদ্ধার করেছে। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার গোহাট উত্তর ইউনিয়নের খিলা গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রামসোনা গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া। তিনি একজন কাভার্ডভ্যান চালক। কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার দেলপাড়াতে ভাড়া বাসায় থাকেন। মোবাইলে প্রেম করে শিপনের সঙ্গে বিয়ে হয় হালিমা বেগমের। গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে শিপন তার স্ত্রী হালিমা বেগমকে শ্বশুরবাড়ি কচুয়া উপজেলার গোহাট উত্তর ইউনিয়নের খিলাগ্রামের পাথরীয়া বাড়ি থেকে আনতে যান। তখনই বিবাহিত জীবনে হালিমাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে শিপনকে আটক করে শিকল দিয়ে বেঁধে ঘরের একটি কক্ষে তালা দিয়ে রাখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এ খবর পেয়ে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) শিপনের বাবা-মা ময়মনসিংহ থেকে কচুয়ায় আসলে স্থানীয় সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক হালিমাকে ডিভোর্স দেয়ার কথা বলে কাবিননামার দুই লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দাবি করে শিপনের বাবা মিলন মিয়াকেও আটক করে রাখে তারা। মঙ্গলবার শিপনের মা শিল্পী বেগমকে টাকা নিয়ে আসার জন্য তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) কচুয়া থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
কচুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উল্লাহ জানান, যেহেতু এটি তাদের পারিবারিক বিষয়, তাই পারিবারিকভাবেই এটির সমাধান হবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কাভার্ডভ্যান চালক শিপন মিয়া ও হালিমার মধ্যে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর গত ১৯ অক্টোবর পারিবারিক সম্মতিতে নারায়ণগঞ্জে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
হালিমা জানান, তার স্বামী শিপন গাঁজাখোর, মাদকাসক্ত। বিষয়টি আগে তার জানা ছিল না। তার শ্বশুরও একই ধরনের লোক। আর সে জন্যই তিনি ডিভোর্স চান।