বগুড়ার নন্দীগ্রামে আব্দুর রহিম (৪০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মাঠ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় গিয়াস উদ্দিন গেদা পাগলার মাজার থেকে নারীসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। নিহত আব্দুর রহিম একই উপজেলার সিংজানি গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রহিম তিনদিন আগে বাড়ি থেকে বের হন। একই উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে গিয়াস উদ্দিন গেদা পাগলার মাজারে যাতায়াত ছিল তার। সেখানে মাঝে মধ্যেই গান-বাজনার আসর বসে। শুক্রবার রাতেও সেখানে আসর বসে। ওই আসরে মুরিদদের পাঁচজনের ছেলে-মেয়ের বিয়ে দেয়া হয়। সেখানে আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন। শনিবার মরদেহ উদ্ধারের পর পাশে একটি সাদা রঙের জ্যাকেট ও একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে।
পুলিশ জানায়, মরদেহ উদ্ধারের পর গ্রাম পুলিশ সিদ্দিকুরের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তার পরিবারের সবাই আত্মগোপন করেছে। ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তিন নারী ও দুই পুরুষ মুরিদকে আটক করা হয়।
নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আনিসুর রহমান বলেন, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।