জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাটকল শ্রমিকদের নিয়মিত মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আমরণ অনশনরত শ্রমিক আবদুস সাত্তারের মৃত্যুতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাবি শাখার নেতাকর্মীরা।
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ সংলগ্ন মুরাদ চত্বর থেকে ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক ঘুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এ সময় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা পাটকল শ্রমিকদের ১১ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান।
সমাবেশে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিলউজ্জামান বলেন, ‘সরকারকে আমরা বলতে চাই খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের আমরণরত অনশনে আবদুস সাত্তার যে মারা গেলেন অনতিবিলম্বে তাদের মজুরি কমিশনসহ ১১ দফা দাবি মেনে নিন। মেনে না নিলে এদেশের ছাত্র সমাজ, শ্রমিক জনতা একত্র হয়ে এ দাবিসমুহ বাস্তবায়নে রাজপথে নামবে।’
ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার মূখপাত্র খান মুনতাসির আরমান বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করার জন্য আমরা যে সংগ্রাম ও লড়াই করেছিলাম আমাদের শ্রমিক ভাইদের পরিশ্রমে সেই বাংলাদেশ অনেকে দূরে পৌঁছে গেছে। শ্রমিক ভাইদের রক্তে ঘামে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে তাদের জন্য আমরা কি দিচ্ছি? আমরা আমাদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে বলতে চাই এদেশে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণভ্যূত্থান, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র শ্রমিক জনতা একত্র হয়ে সংগ্রাম করেছে। তাই এ বাংলাদেশে আমাদের শ্রমিক ভাইদেরকে মেহনতি মানুষদেরকে দূরে রেখে ছাত্ররা অভিজাতন্ত্র কায়েম করতে দিবে না।’
উল্লেখ্য, নিয়মিত মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিকরা আমরণ অনশন শুরু করেন। এতে বৃহস্পতিবার প্লাটিনাম জুবলি জুট মিলের শ্রমিক আব্দুস সাত্তার (৫৫) মারা যান।