কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাপস কুমার সরকার একজন আদর্শ পিতার আদর্শ সন্তান। ঐতিহ্যবাহী হরিনারায়ণপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা মনোজ কুমার সরকার এবং শিক্ষিকা মায়ের সন্তান ডাঃ তাপস কুমার সরকার। তিনি এলাকার মানুষ সহ হাসপাতলে আগত বহির্বিভাগ এবং ভর্তিরত রোগীদের দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। ডা: তাপস কুমার সরকার অত্যন্ত সাদামাঠা জীবন যাপন করেন। তিনি ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে নিরলস ভাবে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ধৈর্য সহকারে তিনি চেম্বারে অসংখ্য রোগী দেখেন এবং ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন। সার্বক্ষনিক তিনি দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেন। মারাত্মক অসুস্থ্য রোগীদের চিকিৎসার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গভীর রাতে ছুটে এসে ওটি থেকে শুরু করে সাধ্যমত দায়িত্ব পালন করেন। এমন কোন রোগী বা রোগীর স্বজন নেই যারা বলতে পারবেন ডাঃ তাপসকে চিকিৎসা সংক্রান্ত অনুরোধ করে তিনি সেবা পাননি। ডাক্তার তাপস কুমার সরকারের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছেন না। একজন নীতি ও আদর্শবান ব্যক্তির দ্বারা এমন দুর্নীতি হতে পারে না বলে এলাকাবাসী দাবি করেন।
সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে এই জাতীয় মিথ্যাচার কে বয়কট করেছে। ডাঃ তাপস কুমার সরকারের সাধারণ বেশ ও দায়িত্ব কর্তব্য পরয়ানতা সকলকে মুগ্ধ করেছে। গত শুক্রবার ডাঃ তাপস কুমার সরকার তার নিজ ফেসবুকে লিখেছেন,
কুকর্মের নায়ক হিসাবে চিহ্নিত করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ! আমাকে নিয়ে আজ কুষ্টিয়ার স্থানীয় পত্রিকা এবং জাতীয় পত্রিকায় টাকা আত্মসাৎ এবং দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও এ অভিযোগের ব্যখ্যা ফেসবুকে লিখে সুরাহা হবে না, তবুও লেখা যেন বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজন আমার অবস্থান বুঝতে পারেন।
প্রথমত, আর এম ও আয়ন ব্যয়ন কর্মকর্তা নন। হাসপাতালের আর্থিক লেনদেনের সাথে আর এম ও কোনভাবেই জড়িত থাকেননা। টেন্ডার প্রক্রিয়া এবং ক্রয়াদেশ দেয়ার ক্ষেত্রেও আরএমও’র ভূমিকা অধিদপ্তর এবং মন্ত্রনালয়ের দেয়া নির্দেশনার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
সংবাদে প্রকাশিত অভিযোগে উক্ত ক্রয়াদেশের মালামাল সমুহ যেমন ওষুধপত্র, রাসায়নিক সামগ্রী, রোগীদের ব্যবহার্য অন্যান্য সামগ্রী এবং কিছু যন্ত্রপাতি বুঝে নেয়ার দায়িত্ব সার্ভে কমিটির অন্য দুজন সদস্যের সাথে আমি শর্ত মোতাবেক মালামাল বুঝে নিয়ে ষ্টোর কিপারকে বুঝিয়ে দিই। পরবর্ত্তীতে অডিট টিম পরিদর্শন করে মালামাল সঠিকভাবে বুঝে পান। এরপরেও সার্ভে কমিটির সদস্যদের নামে মন্ত্রনালয় থেকে চিঠি করা হয়। উল্লেখ্য যে, সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় কোন কার্যক্রমে জড়িত নন এমন একজন চিকিৎসককেও একই অভিযোগে অভিযুক্ত করে চিঠি দেয়া হয়েছে।
আমরা উক্ত অভিযোগের জবাব যথাযথ কতৃপক্ষের মাধ্যমে মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করেছি।
আমি দুঃখিত আপনাদের অটুল বিশ্বাসে চিড় ধরার জন্য। আশাকরছি খুব শীঘ্রই সমস্যাটির সমাধান হবে।
You are here: Home / Uncategorized / কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আদর্শ পিতার আদর্শ সন্তান ডাঃ তাপস কুমার সরকার