বগুড়ায় বাড়ির মালিক কর্তৃক চুল কেটে দেয়ায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ১৩ বছর বয়সী কিশোরী এক গৃহকর্মীর। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
গতকাল রোববার রাতে মেয়েটি বিষপানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই বাড়ির লোকজন গোপনে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ওই কিশোরী আশঙ্কামুক্ত বলে সোমবার বিকেলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া জবানী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার আব্দুর রাজ্জাক ও রোকসানা দম্পতির বাড়িতে থাকতো ওই কিশোরী। ৫ বছর বয়সে তাকে সারিয়াকান্দিতে তার ফুপু ও দাদির কাছে থেকে নিয়ে আসে রাজ্জাক দম্পতি। সেই থেকে বাড়ির কাজকর্ম করতো সে।
রোববার সন্ধ্যার দিকে বাসায় থাকা অন্য ভাড়াটিয়া এক নারীর সঙ্গে কথা বলছিল সে। এতে করে ক্ষিপ্ত হন গৃহকর্ত্রী রোকসানা। এতে তিনি ওই মেয়েটিকে মারপিট করার পাশাপাশি তার মাথার চুল কেটে দেন। লম্বা চুল হারিয়ে অভিমানে মেয়েটি ঘরে থাকা ইঁদুর মারার বিষ পানিতে মিশিয়ে পান করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আব্দুর রাজ্জাক তাকে রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতালে থাকা মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে এর আগেও তুচ্ছ ঘটনায় মাঝে মাঝেই সে গৃহকর্ত্রীর মারপিটের শিকার হতো।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, ওই মেয়েটির বাবা-মায়ের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আলোকিত বগুড়া নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষে জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি সমাজ সেবক আব্দুল মান্নান আকন্দ মামলার বাদী হচ্ছেন বলে জানা গেছে। আব্দুল মান্নান আকন্দ জানান, তিনি নির্যাতিত মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করতে চান।