বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মো. আনসার আলী নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে দুর্ঘটনাবশত ওই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান অভিযুক্ত ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো শাহ আলম।
ভেটেরিনারি অনুষদের ৪র্থ বর্ষের ও ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আনসার আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগে জানান, ‘রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বার মোড়ে কামালের দোকানে চা পান করার সময় আমার হলের সিনিয়র ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো শাহ আলম উপস্থিত হন। তখন তাকে বসতে বললে তিনি অপমান বোধ করেন এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এরপর বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান বিপ্লব উপস্থিত হলে তার উসকানিতে শাহ আলম দোকানের লাকড়ি এনে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার ডান হাতের কাঁধের সংযোগস্থল আলাদা হয়ে যায় এবং মাথা ও কপালে প্রচণ্ড আঘাত পাই। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছি।’
অভিযুক্ত শাহ আলম বলেন, আমার যে বিষয়ে রাগ হয় সে বিষয়টা নিয়ে অনেকদিন ধরে জ্বালাতন করছিল আমার জুনিয়র (আনসার)। আমার সাথে এরকম করতে বারবার নিষেধ করলেও সে শোনেনি। পরে গতকাল আবার একই কাজ করলে আমি আমার মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। এতে তার হাত ভেঙে যাবে বুঝতে পারিনি। এটা অ্যাক্সিডেন্টালি হয়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক বলেন, এসব বিষয়কে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।