প্রকৃতিতে এখন শীতের আমেজ চলছে। এ সময় নানা ধরনের শাকসবজি ও ফলমূল পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু খাবার আবার ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একবারে বেশি না খেয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের সারাদিনে অল্প পরিমাণে কিছুক্ষণ পর পর খাবার খাওয়া উচিত। তবে সেটা অবশ্যই চিনিমুক্ত হতে হবে। এছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়াও ঠিক না। শীতের এ সময় পাওয়া বিভিন্ন শাকসবজি ও ফলমূল দিয়ে মুল খাবারের পাশাপাশি হালকা ধরনের খাবার তৈরি করতে পারেন। যেমন-
১. শীতের এ সময় উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ সিদ্ধ ছোলা খেতে পারেন। এটা খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা অনুভূত হয়। এতে থাকা প্রোটিন রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২. শীতে পাওয়া বিটরুট ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ উপকারী। এতে থাকা ফলিক এসিড, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীরা বিটরুটের সঙ্গে ব্রকলি, আখরোট, আপেল, সেলেরি মিশিয়ে সালাদ বানিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাবেন। তবে ভুলেও এতে চিনি যোগ করবেন না।
৩. শীতের সময় মিষ্টি আলু পাওয়া যায়। এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকরী। স্বাদ বাড়াতে মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে ছোট ছোট করে কেটে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
৪. শুধু শীত নয়, বাদাম সবসময়ই পাওয়া যায়। মুল খাবারের বিরতিতে আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম খেতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বীজ যেমন- মিষ্টি কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ এগুলোও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
৫. বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানে ভরপুর গাজরকে সুপার ফুড বলা হয়। কারণ এটি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়, এমনকী ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, কম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালরি থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। ভালো ফল পেতে খোসা ছাড়িয়ে লম্বা করে কেটে গাজর কাঁচাই খেতে পারেন।