কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অভিনব কায়দায় মাদক পরিবহনকালে রাজধানীর কাকরাইল থেকে আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (১৬ডিসেম্বর) রাতে র্যাব-১ এর একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় ৯২০০ ইয়াবাসহ একটি প্রাইভেটকার জব্দ করে র্যাব।
আটকরা হলেন, হুমায়ুন কবির ওরফে রোমান (৩৯) ও বিল্লাল হোসেন (৩৮)।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় র্যাব-১, উত্তরার একটি দল গোয়েন্দা সূত্রে ইয়াবা চালানের খবর পায়। ওই খবরের ভিত্তিতে ১৬ ডিসেম্বর রাত ১১ টার দিকে র্যাব-১ এর একটি দল রাজধানীর শান্তিনগর রোডস্থ কাকরাইল সড়কে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের ওই দুই সদস্যকে আটক করে। এ সময় তল্লাশি করে ৯২০০ পিস ইয়াবা, একটি ল্যাপটপ, নগদ ৫২ হাজার পাঁচশ টাকা ও চারটি মোবাইলফোনসহ মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য। কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ইয়াবা নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ইয়াবার চালানগুলো বিশেষ কৌশলে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীসহ সারাদেশে সরবরাহ করে থাকে।
এ চক্রের অন্যতম সদস্য কক্সবাজার জেলার জনৈক মাদক ব্যবসায়ী। সে ইয়াবার চালান দেশে এনে হুমায়ন কবির ও বিল্লালের মাধ্যমে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে।
আটক হুমায়ুন জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে জব্দ প্রাইভেটকারের মালিক। দীর্ঘদিন ধরে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনের আড়ালে বিশেষ কৌশলে মাদকের চালান রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিত। ইতিপূর্বে সে ৩০-৩৫টি মাদকের চালান হস্তান্তর করেছে। প্রতি চালানে পেত ৩৫ হাজার টাকা।
আটক বিল্লাল জানায়, হুমায়ুনের মাধ্যমে সহযোগী হিসেবে সে মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়। ইতিপূর্বে তার সঙ্গে ৫-৬টি মাদকের চালান রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ করেছে। এজন্য সে চালান প্রতি পেত ১৫ হাজার টাকা।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।