নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ঘুমানোর স্থান নিয়ে তর্কে জড়িয়ে এক রিকশাচালক আরেক রিকশাচালককে হত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোরে ফতুল্লার কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকায় সেলিম মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিকশাচালকের নাম সুরুজ মিয়া (৫৭)। ঘটনার পর হত্যাকারী আপর রিকশাচালক আব্দুল গনি মিয়াকে (৫৬) আটক করেছে পুলিশ। তারা দুজনই ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা। এর মধ্যে নিহত সুরুজ মিয়া ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার কোনাবাড়ি গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে এবং আটক আব্দুল গনি ফুলপুর থানার কাইজাকান্দা গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকায় সেলিম মিয়ার বাড়ির একটি কক্ষে পাঁচজন রিকশাচালক এক সঙ্গে বসবাস করেন। সবাই আগেই এসে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে রিকশা চালিয়ে বাসায় ফিরেন সুরুজ মিয়া। এসে দেখেন তার ঘুমানোর স্থানে আব্দুল গনি মিয়া ঘুমিয়ে আছেন। তখন গনি মিয়াকে ডেকে ওঠান সুরুজ মিয়া। এরপর এ নিয়ে দুজন তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গনি মিয়া ইট দিয়ে সুরুজ মিয়ার মাথায় আঘাত করেন। এতে সুরুজ মাটিতে লুটে পড়লে ঘরে থাকা অন্যরা তাকে প্রথমে শহরের ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরুজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে গনি মিয়াকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গনি মিয়া জানিয়েছে বিড়ির মধ্যে সুরুজ মিয়া তাকে কি যেন খাইয়েছে, এতে তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গেছে। তখন কি হয়েছে তা সে জানে না।