Thursday , February 6 2025
You are here: Home / জাতীয় / বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতে পাচার, পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতে পাচার, পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতে পাচারের অভিযোগে দেব প্রসাদ সাহা নামে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) তাকে গ্রেফতারের পর যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। বিচার সাইফুদ্দিন হুসাইন আগামী ১৯ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন নির্ধারণ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

গ্রেফতার দেব প্রসাদ সাহা খুলনার তেরখাদা উপজেলা শহরের সুরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে। তাকে গ্রেফতার ও রিমান্ড আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি দেব প্রসাদ সাহা ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল। তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কর্মরত ছিলেন। তার বিপি নম্বর ৭৫৯৮০৫১১৯৮ ও কনস্টেবল নম্বর ৭০৩। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় ভারতের অনেকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। যে কারণে তিনি যখন তখন নোম্যানস ল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া-আসা করতেন। ইমিগ্রেশনে দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনীর অফিস সহকারী আবু হানজালা রানা ও সৈনিক শাহনেওয়াজ শাহিনের সঙ্গে তার পরিচয় ও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা দুইজন বেনাপোলে মাঝে মধ্যে এসে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুইজনের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে দেব প্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত একটি পেনড্রাইভ নোম্যানস ল্যান্ড পার হয়ে ভারতে পাচার করেন। ১৫ দিন পর আবু হানজালা রানার কাছ থেকে এনে আবারও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত পেনড্রাইভ ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন দেব প্রসাদ সাহা। গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র‌্যাবের হাতে সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহিন আটক হন।

এ সময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার হয় এবং ভারতের কাছ তথ্য পাচারের বেশ কিছু তথ্য দেন। পরে বিষয়টি পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে অনুসন্ধানে নামে। তদন্তে তাদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও ভারতের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আরেফের সঙ্গে কথোপকথনে ভিডিও-সিডির মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশের তথ্য পাচারের বিষয়টি উঠে আসে। সেনা সদস্য শাহনেওয়াজ ও অফিস সহকারী আবু হানজালার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে ভারতে পাচারের বিষয়টিও দেব প্রসাদ স্বীকার করেছে। ফলে তারা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!