করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই আগামীকাল শনিবার (২১ মার্চ) গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী ) আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনের জন্য দুটি উপজেলার ১৩২ কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২০ মার্চ) সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে পৌঁছাতে শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে প্রিসাইডিং অফিসার ১৩২ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৭৮৬ জন, পোলিং অফিসার ১ হাজার ৫৭২ জন দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ নির্বাচন তদারকিকরণে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন।
দু্ই উপজেলা মিলে এ আসনের সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পলাশবাড়ী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২১১ জন। এর মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ১০ জন ও পলাশবাড়ী উপজেলায় ২ লাখ ২০১ জন। এ দুটি উপজেলায় পুরুষ ভোটার ২ লাখ, ১২ হাজার ৬৩৮ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৫৭৩ জন রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ আসনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীকের প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতিকে সমর্থন দিয়েছেন।
এছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক ও জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুমান।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের ইউনুস আলী সরকার। ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর তার মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। চলতি মাসের ৬ তারিখ এ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিলে ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা হয় ২১ মার্চ।