করোনা আতঙ্কে সারা দেশ স্তব্ধ হয়ে আছে। কিন্তু গ্রামের সাধারণ মানুষ এখন অনেকটা অন্ধকারেই আছে। এবার তাদের পাশে দাঁড়ালো ‘আমাদের তাহেরপুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।’ করোনা থেকে খোকসা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে বাঁচাতে তারা প্রতিদিনই কোনো না কোনো কর্মসূচি পালন করছে।
এর অংশ হিসেবে পুরো খোকসা উপজেলায় তারা সচেতনতামূলক মাইকিং করেছেন। বিভিন্ন বাজারে জীবাণুনাষক স্প্রে করে মার্কেট মালিকদের তাদের দোকান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার অনুরোধ করেছেন। নিজেরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে সেগুলো বিনামূল্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণ করেছেন। সংগঠনের সভাপতি শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সদস্যদের একটি দল মানুষকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিদের সাবান দিয়ে হাত ধুতে উৎসাহিত করার জন্য বিনামূল্যে সাবানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও এক্সিম ব্যাংক কর্মকর্তা রেজাউল করিম অরণ্য এর উদ্যোগে এলাকায় বিনামূল্যে কয়েক হাজার মাস্ক বিতরণ করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ মাস্ক ব্যবহারে উদাসীন। তাদেরকে সচেতন করার লক্ষে এলাকাবাসীর মধ্যে বিনামূল্যে আমরা মাস্ক বিতরণ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, মাস্ক পরলে অন্তত ময়লা থেকে রক্ষা পাবে এবং বায়ুবাহিত রোগ থেকে তারা মুক্তি পাবে।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখে সেজন্য বাজারগুলোতে প্রত্যেক ফার্মেসি ও মুদি দোকানের সামনে আমরা ৩ ফিট পর পর মার্ক করে দিয়েছি। এ বিষয়ে মানুষকে সতর্ক থাকতে সংগঠনের সদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
উপদেষ্টা ও স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন জানান, এলাকার অনেক সম্পদশালী ব্যক্তি আছেন যারা এখনো দেশের এই দুর্দিনে এগিয়ে আসেনি। কিন্তু আমাদের ছেলেরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আমি চাই এলাকার বিত্তশালীরা তাদের এই মানবিক কাজ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিবে।
সাধারণ সম্পাদক জাহিদ খান বলেন,আমাদের প্রধান কাজ মানুষকে সচেতন করে তোলা। মানুষ সচেতন হলেই আমরা মহামারী থেকে রক্ষা পাব।
সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন,মানুষের প্রয়োজনে আমরা সব সময়ই তাদের পাশে ছিলাম। করোনা প্রতিরোধে আমাদের কার্যক্রম আমরা চালিয়ে যাব যতদিন আমাদের দেশ করোনা মুক্ত না হচ্ছে।
এলাকাবাসী আমাদের তাহেরপুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। তারা বলেন- সংগঠনের সদস্যরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। তাদের মাধ্যমে এলাকার মানুষ এখন সচেতন।