খুলনায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে করোনা শনাক্তকরণের জন্য স্যাম্পল সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ সোমবার খুলনা সিভিল সার্জন অফিসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ল্যাব ট্যাকনোলজিস্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এদিকে, খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ইউনিট ঘোষণার পর ৩০টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। ১০০ শয্যা নিয়ে ওই ইউনিট যাত্রা শুরু করবে। অপরদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে বর্তমানে ২ জন ভর্তি রয়েছেন।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ বলেন, খুলনা জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের সন্দেহ হলে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ল্যাব টেকনোলজিস্টদের দিয়ে করোনা টেস্টের স্যাম্পল গ্রহণ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনার হাসপাতালের সকল ল্যাব টেকনোলিস্টকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে করোনা টেস্টের স্যাম্পল সংগ্রহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন চালুর জন্য ইতোমধ্যে ৩০টি বেড বসানো হয়েছে। আরো ৭০টি বেড আনা হচ্ছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে ওই হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন চালু হবে। এর মধ্যে করোনা শনাক্তকরণের কিটও খুলনায় এসে যাবে। এদিকে, খুমেক হাসপাতালে নতুন করে করোনা আইসোলেশনে রবিবার শ্বাসকষ্ট, সর্দি, জ্বর নিয়ে এক বৃদ্ধকে (৮৮) ভর্তি করা হয়েছে। তিনি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে আরেকজন ভর্তি ছিলেন এই ইউনিটে। এ নিয়ে করোনা আইসোলেশনে বর্তমানে ২ জন রোগী ভর্তি আছেন।