করোনাভাইরাসের কারণে টানা দশ দিন ছুটির পঞ্চম দিনে রাজধানীতে গাড়ি চলাচল কিছুটা বেড়েছে। তবে রাজধানীর রাজপথে রিকশার চলাচল বেশি দেখা যায়।
সোমবার (৩০ মার্চ) ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, ভাড়ায় চালিত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো।
গণপরিবহনের ওপর লকডাউন আরোপের প্রথম চার দিনের তুলনায় আজ এসব গাড়ি বেশি ছিল। রাজধানীর বনানী, মগবাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলেছে।
এর চালকদের ডেকে ডেকে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহন চলাচল বেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে যান চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। গাড়ি চলাচল বেড়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে মানুষের যাতায়াত বেড়ে গেছে। এতে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়েছে।
যে উদ্দেশ্যে সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ করা হয়েছে, গণপরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে। তারা বলেন, আওতামুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যগুলো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত।
এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুযায়ী জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। কিন্তু ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়ে গেলে ধরে নিতে হবে মানুষের যাতায়াত বাড়ছে। এতে ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কাও বাড়ছে। সরকারের উচিত গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের ওপরও বিধি-নিষেধ আরোপ করা।
প্রসঙ্গত, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরিসেবা, সংবাদকর্মী, চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহৃত এবং পণ্যবাহী গাড়ি আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।