বিশ^ব্যাপী ছড়ানো নিরব ঘাতক প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশ সরকার ২৬ শে মার্চ থেকে ৪এপ্রিল পর্য়ন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষনার পাশাপাশি জনগনরে নিরাপত্তা ও করোনা সংক্রমন রোধে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে না যেতে এবং সামাজিক দুরত্ত্ব বজায় রেখে চলার নির্দেশনা দিলেও উপজেলার প্রত্যন্ত অ লের হাট-বাজার গ্রামগঞ্জের লোকজন তা মানছেন না।
উপজেলার শালাইপুর, চাঁনপাড়া, শালপাড়া, বাগজানা, রতনপুর, ধরঞ্জী, হাটখোলা, কড়িয়া বাজার ঘুরে দেখা যায় করোনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিনিয়ত জনগনের মাঝে মাইকিং ও সচেতনতা মূলক বিভিন্ন প্রচার প্রচারনা চালিয়ে গেলেও প্রতিফলন নেই সর্বসাধারনের মাঝে । উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রামা লের হাট বাজার, গুরুত্বপূর্ন মোড় সহ বিভিন্ন স্থানে অহেতুক জটলা পাকিয়ে চষে বেরাচ্ছেন । অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখার শ্রমিকরা বাড়ীতে থাকার নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে সহসায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। শালাইপুর বাজারের ব্যবসায়ী আলী হাসান বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য টহল দিয়ে চলে যাওয়ার পর পরই লোকজন সমেবেত হচ্ছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গোলাম মর্তূজার রহমান বলেন, করোনার সংক্রমন সর্ম্পকে গ্রামের সাধারণ মানুষ বোঝে না। তাই ভাইরাসের ভয়াবহতা তাদের বুঝাতে পারলেই জন সমাগম কমতে পারে।
পাচঁবিবি থানার ওসি মো.মুনসুর রহমান বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার মাইকিং করা হচ্ছে। মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিনিয়ত টহল দিচ্ছে। কিন্তুু পুলিশ চলে আসার পর পুনরায় জমায়েত হচ্ছে। মানুষ সচেতন না হলে পুলিশের পক্ষে একা কি করে সম্ভব?
পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাদিম সারোয়ার বলেন, সরকারের নির্দেশনা সবাইকে মানতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হতেও নিষেধ করেন তিনি।
পাঁচবিবি উপজেলার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর বগুড়া ১১ পদাতিক ডিভিশনের মেজর খান খায়রুল ইসলাম আজাদ বলেন, মোতায়েন হওয়ার নির্দেশনা পাইনি, আমরা আপাতত উপজেলা ব্যাপী টহল জোরদার করেছি। নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।