নূরুন্নবী বাবু ॥
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে গতকাল সন্ধ্যায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাই পাহাড়পুর গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে মেহের আলী (৬০) ও বকুল (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ ভুট্টো-মিলি ম্ন্তুা গ্র“পের লোকজন। পাহাড়পুর এলাকায় চলছে চরম উত্তেজনা। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাপস কুমার সরকার এই হত্যাকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন। বাঁধ বাজার এলাকার ফিরোজ ওরফে কটা মেম্বার জানান, গতকাল পাহাড়পুর গ্রামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ইউসুফের ছেলে রাজুর সাথে প্রতিপক্ষ গ্র“পের সাথে মারামারি হয়। এরই প্রেক্ষিতে আজ সকালে বাঁধবাজার পুলিশ ক্যাম্পে এসআই গৌতম দুই গ্র“পের লোকজনকে ডেকে এই ঘটনার শালিসী বৈঠক করেন। শালিসী বৈঠকে ভুট্টো-মিলি-মুন্তা গ্র“পের লোকজনকে চড় ধাপ্পুড় মারেন। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে তারা আজ সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাহাড়পুর সাদ ব্যাপারী গ্র“পের সাদের আপন দুই ভাই মেহেদ আলী (৬০) ও বকুল (৫০) কমলাপুর বাজার থেকে বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে পাহাড়পুর মন্টুর বাড়ি থেকে ভুট্টো-মিলি-মুন্তা গ্র“পের প্রায় অর্ধ শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, বেকি, তরোয়ার, রড, লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এই হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব পাহাড়পুর গ্রামের ভুট্টো, তুহিন, মুন্তা, গেদু, খোরশেদ, মিলন, টুটুল, খোকন, তরুণ, শাজাহান ও নুরপুর গ্রামের মিলনসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক লোকজন। পরে রক্তাত্ত অবস্থায় মেহেদ আলী ও বকুলকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাদের দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে ভুট্টো-মিলি ম্ন্তুা গ্রুপ বাঁধ বাজারে ফিরোজ ওরফে কটা মেম্বারের অফিসে হামলা চালাতে গেলে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের বাঁধায় ব্যর্থ হয়ে ফেরার পথে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার অফিসার-ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম এর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে পাহাড়পুরে সরেজমিনে গিয়ে আমাদের প্রতিবেদক লিগার জানান, এলাকায় চরম উত্তেজনা চলছে। যে কোন সময় লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটতে পারে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।