কুষ্টিয়া দৌলতপুরে কমছেনা গনজমায়েত সেলুন থেকে ইলেকট্রনিক্স দোকান পর্যন্ত খোলা বিভিন্ন বাজারে। সাধারণ জনগণ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করছে। এমনকি প্রবাসী ও ভারত থেকে অবৈধ পথে আসা বাংলাদেশীরা সরকারী নিয়ম মানছেনা। স্বাভাবিক মানুষের মত ঘুরছে হাট বাজারে । এ বিষয়ে বিভিন্ন এলাকা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সচেতন জনগণ মুঠোফোনে জানান বিভিন্ন বাজারে এবং মোড়ে মোড়ে ব্যাপক মানুষের গণজমায়েত হচ্ছে,বিদেশ থেকে আসা এবং উপজেলার ৪৭ কিলোমিটার সীমান্ত হওয়াতে ভারত থেকে আসা লোকজন মানছেনা সরকারী নিয়ম । এ বিষয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধানে গেলে দেখা যায়, তারাগুনিয়া বাজারে, মথুরাপুর স্কুল বাজার ও বড় বাজারে, ডাংমড়কা বাজার,প্রাগপুর বাজারে ব্যপক গনজমায়েত হয়েছে। এবং সেলুন দোকান থেকে ইলেকট্রনিক্স দোকান প্রর্যন্ত খোলা আছে বাজার গুলিতে। শুধু কিছু সচেতন মানুষের দোকান বন্ধ আছে। সচেতন মানুষেরা দাবি করেন এভাবে চলতে থাকলে আমরা সকলে বিপদ গ্রস্থ হয়ে পড়বো। তাই আমরা চাই সরকার আমাদের সচেতন করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক । এ বিষয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্ববাচিত জনপ্রতিনিধিরা জানান ,দৌলতপুর উপজেলার প্রায় ৪৭ কিলোমিটার ভারত সীমান্তে অবস্থিত এই ৪৭ কিলোমিটার সীমান্ত এর ভিতর প্রায় ১৭ কিলোমিটার সীমান্ত যেখানে কোন কাঁটাতারের বেড়া নাই, তাই চোরাপথে অনেক লোকজন চলে এসেছে, এখন যদি আমরা তাদেরকে বলছি আপনারা তো ইন্ডিয়ায় ছিলেন দেশে এসেছেন আপাতত ১৪ দিন বাসায় থাকেন আমাদের কথা শোনা তো দূরের কথা বরং তারা আমাদেরকে অপমানজনক কথাবাত্রা বলছে ।
এবং বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন প্রবাসী তারা নিজের খেয়াল খুশি মতো চলাফেরা করছে । আমাদের ধারণা অঘোষিত লোক ডাউনের প্রথম দিকে প্রশাসনের কার্যক্রম অনেক ভালো ছিল কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল প্রশাসনের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় প্রশাসনের কাজের গতি অনেক কমে গেছে । আমাদের ধারণা প্রশাসনকে কাজ করতে না দিলে আমাদের সাধারন জনগন ঘরে উঠবে না। এবং আমরা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ে যাব । তাই আমাদের সরকারের কাছে আকুল আবেদন প্রশাসন কে কাজে লাগিয়ে জনগণকে সচেতন করুন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জানান,আমরা বিভিন্ন বাজারে গিয়ে সত্যতা পাচ্ছি আগের চেয়ে বর্তমানে অধিক জনসমাগম হচ্ছে। আমরা একদিক থেকে দোকান বন্ধ করে আসছি বাজারের অন্যদের থেকে আবার দোকান খোলা শুরু করছে । যদি আমরা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে কুচক্রী মহল নিন্দাজনক সমালোচনা করছে । আমাদের কাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে তাই আমরা সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করতে পারছিনা । তবে আমরা আশাহত হচ্ছি না জনগণকে সচেতন করতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।