সারাদেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার তথ্য চেয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১৭ অক্টোবর ডিসিদের এসব তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছিল। একই সাথে মাদরাসাগুলোর তথ্য যাচাইয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তবে, এখনও সব মাদরাসার তথ্য কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে আসেনি। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার তথ্য পাঠাতে ডিসিদের তাগিদ দিয়েছে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জুনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওভুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দেন। এই প্রস্তাবনা অনুযায়ী দেশের ৪ হাজার ৩১২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওভুক্ত করতে খরচ হবে ৩১১ কোটি টাকা।এরপর থেকেই সারাদেশে নাম সর্বস্ব ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপনের হিড়িক পরে গেছে বলে বেশ কিছু অভিযোগ মাঠ পর্যায় থেকে। গত বছরের ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় অনেক মাদরাসা ভুয়া পরীক্ষার্থীদের নিয়ে অংশ নিয়েছিল বলেও অভিযোগ ছিল। ভুয়া পরীক্ষার্থীসহ হাতেনাতে ধরাও পড়েন অনেকে।
টাকার বিনিময়ে ভুয়া নাম সর্বস্ব ইবতেদায়ি মাদরাসা ডিসিদের লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে বেশ কয়েকজন শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক বলেন, লিস্টের নাম তুলতে প্রকাশ্যে চাঁদাও দাবি করেন অনেক শিক্ষক নেতা।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্র জানায়, দেশে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার সঠিক তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য জেলা প্রশাসকদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তালিকাভুক্ত ও তালিকার বাইরের কিন্তু যযথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার তথ্য যাচাই-বাছাই করে বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছিল। এজন্য দুইটি কমিটিও গঠন করা হয়। বেশ কিছু মাদরাসার তথ্য বিভাগে এসেছে। কোন মাদরাসার তথ্য বাদ পড়ে থাকলে সেসব তথ্য পাঠাতে তাগিদ দেয়া হয়েছে ডিসিদের।
ব্যানবেইসে তালিকাভুক্ত ও তালিকার বাইরের কিন্তু যযথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত অবশিষ্ট স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার তথ্য যাচাই-বাছাই করে জরুরিভিত্তিতে বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। গত ২৩ মার্চ এ সংক্রান্ত চিঠি সব ডিসিদের পাঠানো হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে সূত্র।