মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটী ইউনিয়নের ধর্মচাকী গ্রামে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওমর আলী (৩৭) নামের এক ভ্যান চালককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় ওমর আলীর স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। নিহত ওমর আলী ধর্মচাকী গ্রামের মৃত মজের আলীর ছেলে। এঘটনায় ২জন মহিলাসহ ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন-ধর্মচাকী গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে বুলু মন্ডল,তার স্ত্রী সবেজান খাতুন,ছেলে জাহিদুল ইসলাম,ছেলে স্ত্রী আয়েশা খাতুন।মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।নিহতের স্ত্রী পারভীনা খাতুন জানান,আমার ছেলে পারভেজ হোসেন ধর্মচাকী গ্রামের বুলুর ছেলে জাহিদের ট্রলিতে ৩শ’ টাকা পারিশ্রমিকে দিনমুজুরের কাজ করতো। অন্য ট্রলিতে পারভেজকে ৪শ’ টাকা দিতে চাইলে সেখানে কাজ করতে গেলে ঘটনার দিন বিকালে ট্রলি মালিক জাহিদ হোসেন আমার ছেলেকে মারধর করে। রাতে মারধরের কারন জানতে গেলে জাহিদ হোসেন ও তার বাবা বুলু ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে ও আমার স্বামীকে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা জানান,ধর্মচাকী গ্রামের ওমর আলীর ছেলে পারভেজ আলী ও প্রতিবেশী কুদ্দুছ আলীর ছেলে গ্রামের মাঠে প্রায়ই গমের খড় (নাড়া) কুড়িয়ে থাকে। এবং সেগুলো একই গ্রামের বুলু আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলামের গাড়ি ভাড়া করে বিভিন্ন গ্রামে বিক্রি করে আসছিল। বিক্রিত টাকা গাড়ি চালক জাহিদ আত্মসাত করেন। এনিয়ে জাহিদুল ইসলামের কাছে মঙ্গলবার রাতে ওমর আলী টাকা চাইতে গিয়েছিলেন। এসময় জাহিদ টাকা দেবোনা বলে ওমর আলীকে গালিগালাজ করেন। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জাহিদ ও তার বাবা বুলু ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওমর আলীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় ওমরের স্ত্রী স্বামীকে বাঁচাতে আসলে,তাকেও কুপিয়ে একটি হাতের আঙ্গুল কর্তন করেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লে্েক্স নিলে,কর্তব্যরত চিকিৎসক ওমর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।এদিকে উত্তেজিত জনতা বুলুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটিদল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘটনা সাথে জড়িতদের আটক করা হয়েছে।