কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার মধুপুর কলার হাঁট অঘোষিত চলছে। এই হাট থেকে কৃষকের কলা ট্রাক বোঝাই হয়ে চলে যায় দেশের নানা প্রান্তে। যদিও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রশাসন গত ২৪ মার্চ থেকে সকল হাট বাজার বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কৃষকের কলা গাছে পেকে নষ্ট হচ্ছিল। এদিকে তারা কলা বিক্রয় করতে না পেরে অভাব অনটনে চালাচ্ছিল তাদের সংসার। এদিকে কেউ এক বেলার খাবার উপকরণ পৌঁছে দেয় নি ঘরে বসে থাকা কৃষকের বাড়ি। তাই তারা কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করে ঘর থেকে বেড়িয়ে বাজারে এসেছে কলা বিক্রয় করতে। কৃষকদের প্রশ্ন ঘরে বসে থাকলে খাওয়ার দেবে কে? পেটের ক্ষুধার কাছে করোনার ভয়াবহতা তুচ্ছ। এদিকে কৃষকের দারিদ্র্যতা কে পুঁজি করে হাট মালিকেরা করছে রমরমা ব্যবসা।
মধুপুর কলার হাঁটে আসা বেশকিছু কৃষক জানান, তাদের জমির কলা গাছেই পেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সংসার চলে এই কলার উপর। কলা বিক্রয় করে সংসার চালায়। এই কলা বিক্রয় করতে না পারলে আমরা না খেয়ে মারা যাবো। ২৪ তারিখ থেকে হাট বন্ধ করে দিয়েছে ইউএনও। কিন্তু এখন পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার) প্রশাসন আমাদের কোন সহযোগিতা পাঠায়নি। শুধু তাই নয় আগের চেয়ে অর্ধেক দামে কলা বিক্রয় করা লাগছে। যদি আমরা ঘরে বসে থাকি তবে আমাদের খাওয়ার দেবে কে? না খেয়ে মরার চাইতে যুদ্ধ করে মরা ভালো।
এদিকে এই হাটে আসা এক বেপারী জানান, প্রায় ৫০লক্ষ টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য এই হাট ইজারা নিয়েছেন। এভাবে হাট বন্ধ থাকলে হাট মালিকের লোকসান হবে এবং শ্রমিক ও আমরা বেকার হয়ে যাবো। কৃষকরাও না খেয়ে মরবে।
এদিকে কৃষকের দারিদ্র্যতা কে পুঁজি করে ব্যবসা করছে হাট মালিক। হাট মালিক প্রশাসনের চোখে ধুলো দিতে তিন জায়গায় হাট বসিয়েছেন। মধুপুর কলার হাট, গরুর হাট ও আখ সেন্টারের এই হাট বসছে।
এদিকে এলাকাবাসীর মধ্যে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা না মেনে গত তিন দিন ধরে চলছে মধুপুর কলার হাট।