Thursday , January 16 2025
You are here: Home / Uncategorized / শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ অসহায় মানুষের কল্যাণে
শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ অসহায় মানুষের কল্যাণে

শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ অসহায় মানুষের কল্যাণে

প্রাথমিক শিক্ষক ও কর্মকর্তারারা তাদের বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ টাকা স্বেচ্ছায় অনুদান দিচ্ছেন দুস্থ মানুষের সাহায্যের জন্য। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক এবং  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের আজ ২ এপ্রিল এই টাকা দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। স্বেচ্ছায় এই টাকা করোনা মোকাবেলার তহবিলে দান করছেন তারা। অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে শিক্ষক নেতা, কর্মচারীদের সংগঠন এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠপর্যায় থেকে অর্থ সংগ্রহ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো ফসিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ক্রান্তিকালে জাতি পাশে দাঁড়াচ্ছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শিক্ষক নেতা, কর্মচারীদের সংগঠন এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আমাদের সাথে আলোচনা করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় ও কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ মানুষের সহায়তায় বৈশাখী ভাতার টাকার ২০ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনেকে বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশের বেশী দিতে চাচ্ছেন। তাদের ইচ্ছাও বিবেচনা করা হবে।

মহাপরিচালক আরও জানান, চলতি বছর নববর্ষ বা বৈশাখী উৎসব পালন না করার নির্দেশনা এসেছে। তবে ইতোমধ্যেই অধিদপ্তরের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা বাবদ টাকা ছাড় হয়েছে। সারাদেশের প্রাথমিকের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা বাবদ ১২০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। তাই বৈশাখী ভাতার একটি অংশ করোনা মোকাবেলায় এবং কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ মানুষের সহায়তায় দান করতে চাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। তার ২০ শতাংশ হিসেবে ২৪ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দান করা সম্ভব হবে।

এদিকে রংপুরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক দপ্তর সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার পাঠানো এক চিঠিতে সব জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, পিটিআই সুপার ইন্সট্রাক্টর ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর এবং শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ টাকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পাঠাতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে।

দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সব সরকারি অফিস স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনজীবন হয়ে পড়েছে স্থবির। এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী নিম্নআয়ের দিনমজুর ও বস্তিবাসীরা।

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!