Thursday , January 16 2025
You are here: Home / জাতীয় / জাপান থেকে ফিরতে ঢাবি শিক্ষকের আকুতি
জাপান থেকে ফিরতে ঢাবি শিক্ষকের আকুতি

জাপান থেকে ফিরতে ঢাবি শিক্ষকের আকুতি

ব্যক্তিগত প্রয়োজনে জাপান ভ্রমণে গিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি অনুষদের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিমুল হালদার। তবে করোনাভাইরাসের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া সেখানে আটকা পড়েছেন তিনি। এ অবস্থায় দেশে ফেরারের আকুতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি লিখেছেন তিনি।

চিঠিতে ওই শিক্ষক লিখেছেন, ‘আমি ড. শিমুল হালদার, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত। আমার স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে বর্তমানে আমার স্ত্রীর পিএইচডি গবেষণা করার কারণে জাপানে অবস্থান করছে। সেই প্রেক্ষিতে আমি গত ৮ জানুয়ারি জাপানে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘ছুটি শেষ হওয়ার পূর্বেই আমি দেশে ফেরার জন্য ৩০ মার্চের টিকেট নিশ্চিত করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার প্রেক্ষিতে গত ১২ মার্চ ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ ইমেইল করে ফ্লাইট বাতিলের কথা জানায়। এরপর আমি মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স এ গত ২২ মার্চ ঢাকায় ফেরার জন্য পুনরায় টিকেট নিশ্চিত করি।’

ড. শিমুল হালদার বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে গত ২১ মার্চ সরকার আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এই প্রেক্ষিতে আমি পুনরায় আগামী ৩ এপ্রিল মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স এ টিকেট নিশ্চিত করি। অধিকন্তু, বাংলাদেশ সরকার পুনরায় বিমান চলাচলের এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমি এখানে এক অনিশ্চয়তায় দিন পার করছি।’

তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এই অবস্থায়, বাংলাদেশ তথা বিশ্বে করোনার প্রাদুর্ভাব না কমা পর্যন্ত আমার পক্ষে ফেরা অসম্ভব মনে হচ্ছে।’

উল্লেখ্য যে, সাময়িক ভ্রমণ, সর্ট ট্রেনিং, মার্চে শিক্ষা সমাপনী শেষ হওয়ার প্রেক্ষিতে আমার মত অনেকেই আটকে আছেন। এই প্রেক্ষিতে জাপানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগের প্রেক্ষিতে গত ১ এপ্রিল দূতাবাসের ফেসবুক পেজে আটকে পড়া ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী চেয়ে একটি স্ট্যাটাস প্রদান করে।’

সে প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় তথ্য দূতাবাসকে প্রদান করার কথা উল্লেখ করে চিঠিতে তিনি বলেন, ‘এমতাবস্থায়, সামগ্রিক পরিস্থিতি মহোদয়ের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রার্থনা করছি। বাংলাদেশ সরকার আমাদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করলে আমরা নিজেদের অর্থেই দেশে ফিরতে ইচ্ছুক এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা লাগবে না।’ এমতাবস্থায় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানান তিনি।

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!