কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে গত ২৯ই মার্চ রাতে মাছ ধরতে গিয়ে পুরাতন কুষ্টিয়ার বাসিন্দা মজনু ঘরামির ছেলে জিয়ার মিস্ত্রী (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়। ৮দিন অতিবাহিত হলেও ওই নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি। এই ঘটনায় জিয়ার পিতা-মজনু বিশ্বাস কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করে। এই ঘটনায় পুলিশ গত শুক্রবার জড়িত থাকার অভিযোগে কুষ্টিয়া হাটশ হরিপুরের আবজাল মালিথার ছেলে সাইফুল মালিথা (৩৫), রশিদের ছেলে রঙিল (৩৩), নিমাই ছেলে লালন (৩৫), ঠান্ডুর ছেলে তারিক (৩৮), অপের ছেলে ফরিদুল (৪০)কে আটক করে। আরও আসামী করা হয় কুষ্টিয়া হাটশ হরিপুর মালিথা পাড়ার রব্বেল ডাকাতের ছেলে জুলফিকার (২৫), চর ভবানীপুর নতুর ছেলের মহিদুল (৩৮), মনির ছেলে রফিক (৩৬), নিয়ামত মন্ডলের ছেলে এশারত (৪৫)। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, “মজনু জানায়, আমার ছেলেকে আসামীগণ অসৎ উদ্দেশ্যে তার ব্যবহৃত ০১৮৪৯২৯৭২৫৯ নং মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু রাত ১২টা পর্যন্ত আমার পুত্র বাড়িতে না ফেরায় আমি আসামীগণের সাথে যোগাযোগ করি। আসামীগণ প্রকাশ করে যে, আপনার ছেলে পদ্মা নদীতে ডুবে গেছে। আবার কেউ বলে যে, আমি জানি না। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসনের লোকজন সহ দমকল বাহিনী আসিয়া নদীতে প্রানপণে তল্লাশী চালায়। কিন্তু কোথাও আমার পুত্রকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করতে পারি নাই। এদিকে আমি ও আমার আত্মীয়স্বজন বিভিন্ন জায়গায় খুঁজাখুজি করিয়া পুত্রের কোন সন্ধান পায়নি। আমার ধারণা ৮নং আসামী রফিক ও ৯নং আসামী এশারত এর সাথে আমার দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমার বিরোধ থাকায় তারা প্রভাব বিস্তার করে অর্থের বিনিময়ে আমার পুত্র জিয়ার বিশ্বাস (৩৫)কে হত্যা করে আমার পুত্রের লাশ অজ্ঞাত স্থানে গুম করেছে।” নিখোঁজ জিয়ার বিশ্বাসের ভাই সাগর মাহমুদ বলেন, দীর্ঘ ৮দিন আমার ভাই জিয়ার নিখোঁজ রয়েছে। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে শাস্তির দাবী করছি এবং তারা পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত ফরিদুল সাঁতার না জানলেও তিনি নদী থেকে কিভাবে বেঁচে আসলেন। আটককৃত ৫জনকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই এই নিখোঁজ হওয়ার রহস্য উদযাঘটান হওয়া সম্ভব বলে এলাকাবাসী মনে করেন। এই দিকে ৮ দিন নিখোঁজ থাকায় জিয়ার পরিবারের চলছে শোকের মাতম।
You are here: Home / খুলনা ও বরিশাল / কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজ ব্যাক্তির ৮ দিনেও মেলেনি সন্ধান: থানায় মামলা ॥ আটক-৫