Sunday , January 26 2025
You are here: Home / জাতীয় / করোনার আতঙ্কের মধ্যেই সংসদ অধিবেশনের প্রস্তুতি
করোনার আতঙ্কের মধ্যেই সংসদ অধিবেশনের প্রস্তুতি

করোনার আতঙ্কের মধ্যেই সংসদ অধিবেশনের প্রস্তুতি

করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও সংসদের ৭ম অধিবেশন আহ্বানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংসদ সচিবালয়। ১৮ এপ্রিল অধিবেশন শুরুর প্রস্তাবনা দিয়ে এ সংক্রান্ত ফাইল প্রস্তুত করেছে সংসদ সচিবালয়। এরপর ফাইলটি প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে সোমবারই রাষ্ট্রপতির কাছে ফাইল নিয়ে যাবেন সংসদের কর্মকর্তারা।

রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলেই ওই দিন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এর আগে যেকোনো দিন অধিবেশন বসতে পারে। সংসদের একাধিক কর্মকর্তা l এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে অধিবেশন আবার বসার নিয়ম আছে। সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদের অধিবেশন শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে এই অধিবেশন ডাকায় অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংসদের বৈঠক করার পরিকল্পনা ছিল।

এর আগে করোনা ভাইরাসের কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ডাকা সংসদের বিশেষ অধিবেশন বাতিল করা হয়। গত ২২ মার্চ জাতীয় সংসদে বিশেষ অধিবেশন বসার কথা ছিল। এই অধিবেশনে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী এবং নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। দুই কার্যদিবস চলার কথা ছিল এই বিশেষ অধিবেশন। এর আগে ১৯৭৪ সালের ৩১ জানুয়ারি ও ১৮ জুন সংসদে বিশেষ অধিবেশন বসেছিল। যেখানে সাবেক যুগোস্লাভ প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি ভাষণ দিয়েছিলেন।

সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদে অনুযায়ী, সংসদের এক অধিবেশনের সমাপ্তি ও পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের মধ্যে ৬০ দিনের অতিরিক্ত বিরতি থাকবে না। রাষ্ট্রপতি এ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। কার্যপ্রণালি বিধি দ্বারা বা অন্যভাবে সংসদ যেভাবে নির্ধারণ করবে, সংসদের বৈঠক সেভাবে সময়ে ও স্থানে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি
সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৯ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৭ জনে। এদের মধ্যে আরও চারজন মারা গেছেন। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়া পর এটিই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। ফলে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে।

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!