ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)’র গুলিতে নিহত বাংলাদেশী নাগরিকের লাশ গ্রহণ করেনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গত বৃহষ্পতিবার ভোরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চোষপাড়া সীমান্তের এস ৩৭৯/১ এস নম্বর মেইন পিলার এলাকায় জয়নাল আবেদিন(৩৫) নামে এক বাংলাদেশী নাগরিককে গুলি করে হত্যার পর তার লাশ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে মরদেহ ফেরত নিতে বিজিবিকে চিঠি দেয় বিএসএফ। কিন্তু বিজিবি তাতে সাড়া দেয়নি এবং গ্রহণ করেনি জয়নালের লাশ।
জানা যায়, নিহত জয়নাল অবেদিন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে। সে কয়েক বছর আগে কাজের সন্ধানে ভারতে গিয়ে পশ্চিম দিনাজপুর জেলার পানজিপাড়া গ্রামের ভারতীয় এক নারীকে বিয়ে করেন।
গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ভোরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চোষপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলো জয়নাল। এ সময় বিএসএফ’র ১৭১ চাকলাগড় ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শহীদুল ইসলাম জানান, সীমান্তে নিহত ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত দেশে থাকেন না। তাকে হত্যার পর লাশ বিএসএফ সদস্যরা ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। তার দেহ তল্লাশি করে ভারতের রেশন ও আধার কার্ড পায় তারা। তথাপি বিএসএফ তার লাশ ফেরত দিতে চাইলে আমরা তা গ্রহণ করিনি। যেহেতু সে (জয়নাল) কাগজপত্রে ভারতের নাগরিক তাই আমরা তার মরদেহ গ্রহণ করতে পারি না।