বোঝা যাচ্ছে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস নিখুঁতভাবে প্রাণঘাতি। আপনি, আমি আমরা কেউই জানি না কার জন্য প্রাণঘাতি হবে এ ভাইরাস। ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, জেনেটিক্যাল বৈশিষ্ট্য এবং ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা, ক্যান্সার, আজমা, সিওপিডির মতো অসুখ থাকলে করোনা সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত হয়ে উঠতে পারে। সিম্পটম ছাড়াই কিংবা মৃদু সিম্পটম হঠাত করেই জটিল আকার ধারণ করে মৃত্যু ঘটাতে পারে। বেশ কয়েকটি মৃত্যু এ রকমই হয়েছে। ফলে কার জন্য এই ভাইরাস প্রাণঘাতি হয়ে উঠবে কেউই জানে না।
সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় এখন এই ভাইরাসে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। যে যত ঘরের বাইরে যাবেন তার ততো ঝুকি সংক্রমিত হওয়ার। আমাদের বাজারগুলো করোনা ছড়ানোর একেক্টা ঘাটি। ফলে অফিস বন্ধ বলে, আপনার ভালো লাগছে না বলে, এখন প্রতিদিন বাজার করবেন আর দুর্বল স্বাস্থ্যের স্ত্রী, অসুস্থ সন্তান কিংবা বয়স্ক মা-বাবার জীবনের ঝুঁকি তৈরি কেন করবেন আপনি? আপনার কিছু হবে না টাইপের গোয়াতুমি, অভ্যাস বদল করতে না পারার স্বভাব পরিবারের সবার জন্য কান্না আর অসহয়তার কারণ হয়ে যাবে আপনি কি এখনো বুঝতে পারছেন না??
বড়জোর সেপ্টেম্বর।। করোনার ভ্যাকসিন বোধহয় চলে আসবে। হয়তো এর মাঝে কার্যকর কোনো ওষুধ চলেও আসতে পারে। কিন্তু এর মধ্যে আপনার অসহিষ্ণুতা সারাজীবনের দীর্ঘশ্বাস হয়ে থাকতে পারে। নিজের পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়া আপনার, আমার সবার এই মুহূর্তের বড় একটা দায়িত্ব।