মাসুদ রেজা শিশির:
পশু চিকিৎসক না হয়েও হরহামেশেই দিয়ে চলছেন পশুর চিকিৎসা তার ভ’ল চিকিৎসায় এক কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের দড়িপাট্টা গ্রামের জিয়াউর রহমান নামের এক কৃষকের একটি গাভী কেরানী চিকিৎসকের ভ’ল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের অফিস সহকারী সাচ্চু রহমানের কথা বলছিলাম। ২১ জুন রবিবার সরেজমিনে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের দড়ি পাট্টা গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার গাভীর ডেলিভারী নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় পাংশা উপজেলা প্রাণী সম্পাদ অফিসের সাচ্ছুকে ফোন দিলে তিনি আসেন এসে টেলিভারী করাণ তবে ডেলিভারীর পরপরই গাভীটি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে পরে তিনি চলে যায়। পরে রাজু নামের আর একজন চিকিৎসক ডেকে আনলে তিনি বলেন বলেন আগে যে পাংশার সাচ্চু রহমান গাভীটি ডেলিভারী করানোর সময় পেটের ভিতরের ২টা পর্দ্দার ১টা পর্দ্দা তিনি টেনে ছিড়ে ফেলেনোর কারনে গাভীটি আর সুস্থ্য হওয়ার সুযোগ নেই। পরে গাভীটি মারা যায়। গাভীর মালিক কৃষক জিয়াউর রহমান বলেন সাচ্চু রহমানের ভুল চিকিৎসায় আমার ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার গাভীর মারা যাওয়ায় আমি অর্থনৈতিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এ ব্যপারে পাংশা উপজেলা প্রানী সম্পাদ অফিসের অফিস সহকারী সাচ্চু রহমান এর কাছে জানতে চাই আপনি ডাক্তার না হয়েও কি ভাবে গাভীর ডেলিভারী করাতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় গাভীটির মৃত্যু হলো এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান পাংশা উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রভাস চন্দ্র সেনের নির্দেশে আমি দড়ি পাট্টা গ্রামে কৃষক জিয়াউর রহমানের বাড়ীতে গাভী ডেলিভারী করাতে যাই এবং গাভীটির আগে থেকেই সমস্যার কারেন মারা যেতে পারে। পাংশা উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার প্রভাস চন্দ্র সেন এ ব্যপারে বলেন অফিসে জনবল সংকটের কারনে আমি ওই দিন তাকে গাভীর ডেলিভারী করাতে পাটিয়ে ছিলাম। প্রসঙ্গত. উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের দড়ি পাট্টা গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমানসহ ওই এলাকার বেশ কয়েকজন জানান পাংশা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের অফিস সহকারী সাচ্চুর রহমান ডাক্তার না হয়েও এলাকায় অনেক গভাদি পশুর চিকিৎসা দিয়ে আসছেন দির্ঘদিন ধরে।
