নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের মাছাপাড়া ৫২ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে চুরি করতে যায় ৩ চোর। স্থানীয়রা টের পেলে ওই চোর তাদের নিজেদের ২টি মোবাইল ফেলে পালিয়ে যায়। মোবাইলের সুত্র ধরে স্থানীয়রা ওই ৩ চোরকে চিহ্নিত করে। ওই চোর মাছপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী গ্র“পের লোক হওয়ায় লোক দেখানো চড়থাপ্পুড় মেরে বিচার শেষ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিদ মেম্বার। সঠিক বিচার না হওয়ায় এই ঘটনায় এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত রাতে প্রাইমারী স্কুলের অফিস কক্ষের কম্পিউটার চুরি করতে মাছপাড়া গ্রামের সুমন, ইমন ও রবেনসহ ৪/৫জন। স্থানীয়রা টের পেয়ে ধাওয়া দিলে সুমন, ইমন ও রবেন তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন অফিস কক্ষেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুর রহমানের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অফিসে তালা ভাঙ্গা ছিল। পরবর্তীতে জানতে পারি সুমন, ইমন ও রবেন ওখানে চুরি করতে এসেছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য সুমন, ইমন ও রবেনকে নিয়ে বিচার করে। স্থানীয় ও ইউপি সদস্য সুমন, ইমন ও রবেনকে চড়থাপ্পুড় মেরে ছেড়ে দেয়। এ বিষয়ে আমরা থানায় কোন অভিযোগ দেইনি। ইউপি সদস্য শালিস করায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবগত করেনি। এদিকে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে সুমন, রবেন ও ইমন আসে। তারা মুলত কম্পিউটার চুরি করতে নয় ও অফিস কক্ষে রাখা একজনের ধান চুরি করতে এসেছিল। প্রতিবেশীরা টের পেলে চোরের ২টি ফোন রেখে পালিয়ে যায়। চোরদের ২টি মোবাইল ফোন আমার হেফাজতে রয়েছে। কোন শালিস বিচার হয়নি। রাতেই শালিস বিচার হবে। আমি চোরদের উচিৎ শিক্ষা দিতে চায়। এ ব্যাপারে ঝাউদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কেরামত আলী জানান, বিদ্যালয়ের তালা ভেঙ্গে যারা চুরি করতে এসেছিল তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ। এ ব্যাপারে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ- জাঙ্গাগীর আরিফের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে, তিনি জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ থানায় আসে নাই। তবে তদন্ত করে দেখা হবে। এদিকে মজিদ মেম্বার এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
