নিজস্ব প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বোরোধানের বাম্পার ফলন হলেও আগ্রহ হারিয়েছে কৃষক।উপজেলার ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমির ধান কাটাই, মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষক-কৃষানীরা।তবে জমিতে ভাল ফলন থাকলেও বোরোধান চাষে এবছর আগ্রহ হারিয়েছে কৃষকেরা। অর্জিত হয়নি এবার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা।
এদিকে কৃষি অফিস বলছে,ধানের বাম্পার ফলন ও বাজারে ভাল দাম থাকা শর্তেও গত বছর শেষ মুহূর্তে পিঁয়াজের উর্ধ্বমূখী দাম পাওয়ায় বোরোধান চাষে আগ্রহ হারিয়েছে কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বোরোধান চাষের জন্য ৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০০ হেক্টর কম।হেক্টর প্রতি (চাউলে) ৪ দশমিক ২৯ মেট্রন টন করে আবাদকৃত ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে মোট ১৭ হাজার ৭৮৯ মেট্রিক টন(চাউল) উৎপাদিত হয়েছে।
আরো জানা যায়, এবছর উপজেলায় বোরো মৌসুমে উফশী ও হাইব্রীড জাতের ধান চাষ করে কৃষকেরা।তন্মধে ৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে উফশীতের ধান চাষে হেক্টর প্রতি (চাউলে) ৪ দশমিক ২২ মেট্রিক টন করে মোট ১৬ হাজার ৪০৬ মেট্রিক টন (চাউল) উৎপাদন হয় এবং ২৬০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের ধান চাষে হেক্টর প্রতি (চাউলে) ৫ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন করে মোট ১ হাজার ৩৮৩ মেট্রিক টন(চাউল) উৎপাদন হয়।
এতথ্য নিশ্চিত করে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ দেবাশীষ কুমার দাস বলেন,মাঠ পর্যায়ে উপ- সহকারি কৃষি অফিসারদের সার্বিক সহযোগীতায় এবছর বোরোধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।বাজারে চালের দাম বেশি থাকায় ধানের ভাল দাম পাচ্ছে কৃষক।তবে গতবছর শেষ মুহূর্তে পিঁয়াজের ভাল দাম পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০০ হেক্টর কম জমিতে ধানের চাষ হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।