লেখকঃ মোঃ আব্বাস আলী
সহকারী অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা বিভাগ)
জি,টি ডিগ্রী কলেজ, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ।
আসুন জেনে নেই হিসাব নিকাশ। বাংলাদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাঃ
কলেজ ৪,০০৭ টি।
উচ্চ বিদ্যালয় ১৯,৮৪৭ টি।
মাদ্রাসা ৯৩৪১ টি।
কারিগরি ৫৮৯৭ টি।
মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩৯০৯২ টি।
শিক্ষক সংখ্যাঃ
কলেজে ১,১৭,৩৩৭ জন।
উচ্চ বিদ্যালয়ে ২,৪৩,৫৫৩ জন।
মাদ্রসায় ১,১৩,৩৬৮ জন।
কারিগরিতে ৩২,৩৭৯ জন।
মোট শিক্ষক ৫,০৬,৬৩৭ জন।
শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ
কলেজে ৩৭,৬৭,৭৮৪ জন
স্কুলে ৯১,৬০,৩৬৫ জন।
মাদ্রাসায় ২৪,৬,০৩০৫ জন।
কারিগরি ৮,৭৫,২৭০ জন।
মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১,৬২,৬৩,৭২৪ জন।
সরকার বছরে শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে ১৪২৫ কোটি টাকার বেশি ।
জাতীয়করণ করলে শিক্ষকদের বেতন বছরে অতিরিক্ত দিতে হবে ৫,৮২০ কোটি টাকা।
শিক্ষার্থী প্রতি মাসিক ১০ টাকা হারে বেতন ধরলে বছরে আয় হবে ৫৯০০ কোটি টাকা।
জাতীয়করণ করলে সরকারের বছরে উদ্বৃত্ত থাকবে ৮০ কোটি টাকা।
পেনশনের টাকা হিসাব করে যদি বেশিকদের চাকরি জাতীয়করণ করতে আরো অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন বলে আমলাতান্ত্রিক হিসাবে আসে, সেক্ষেত্রেও সমস্যা নেই। বর্তমানে সরকারি স্কুল-কলেজগুলোতে যে বেতন কাঠামো রয়েছে তা অনেক দিনের পুরনো। বর্তমানে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই আয়-ব্যয় দুটোই বেড়েছে, সে বিবেচনায় প্রত্যাশিত বিশ্বমানের শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থী বেতন ২/৩ গুণ বাড়ানো সম্ভব। তারপরও যদি সরকার মনে করে পেনশনের জন্য আরও টাকার প্রয়োজন, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর রিজার্ভ ফান্ডের অর্থ নিলে, সেশন ফি এবং পরীক্ষার ফি থেকে কিছু অংশ নিয়ে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনায়াসেই জাতীয়করণ সম্ভব। সত্যি- সত্যিই তখন প্রতি বাজেটেই সরকার শিক্ষা খাত থেকে টাকা উদ্বৃত্ত করে অন্য খাতে ব্যয় করতে পারবে।
মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা /এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের উদ্যোগ নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধ জানাচ্ছি।