Thursday , May 22 2025
You are here: Home / ব্রেকিং নিউজ / ১৮ বছর শিক্ষকতার পরও এমপিওভূক্তি না পাওয়ায় আত্মহত্যা
১৮ বছর শিক্ষকতার পরও এমপিওভূক্তি না পাওয়ায় আত্মহত্যা

১৮ বছর শিক্ষকতার পরও এমপিওভূক্তি না পাওয়ায় আত্মহত্যা

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মোস্তফা কামাল (৪৫) নামের একজন শিক্ষক গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল হাইস্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ছিলেন। তিনি ভাঙ্গুড়ার টলটলিয়াপাড়ার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ও তার দুটি মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন।

১৮ বছর(দেড় যুগ) চাকরির পরও এমপিওভূক্তি না হওয়ায় তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। এ হতাশায় তিনি শেষ পর্যন্ত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ দাবি তার পরিবারের। পুলিশও প্রাথমিকভাবে এ ধারনা করছে।

বৃহস্পতিবার(২৫ জুলাই) সকালে পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়া পাড়া গ্রামে ওই শিক্ষকের নিজ বাড়ির শোবার ঘরের বারান্দা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, ২০০৩ তাদের প্রতিষ্ঠানটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকেই মোস্তফা কামাল এখানে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। মাঝে কিছুদিনের জন্য এখান থেকে অন্য স্কুলে চলে যান। সেখানেও এমপিওভূক্ত হতে না পেরে ২০১২ সালে আবার এ স্কুলে ফিরে আসেন। বিগত কয়েক বছরে তাদের নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলটি উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়।

এছাড়া ২০১৯ সালের শেষের দিকে মমতাজ মোস্তাফা আইডিয়াল স্কুলটির নিম্ন মাধ্যমিক শাখার শিক্ষকরা এমপিওভূক্ত হন। কিন্তু কাগজপত্রের কিছু কমতি থাকায় মোস্তফা কামাল বাদ পড়ে যান। তবে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ সাপেক্ষ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরে এমপিও’র আবেদন পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল। প্রধান শিক্ষক আরো জানান, মোস্তফা কামাল মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন কিনা, তা তার পরিবারের লোকজন ভাল বলতে পারবেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাসুদ রানা জানান, বৃহস্পতিবার রাতের কোনে এক সময় নিজ শোবার ঘরের বারান্দায় গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন শিক্ষক মোস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তার পরিবারের লোকজন তাকে গলায় ফাঁস নেয়া অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেন। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার দুপরে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান হয়েছে।

ওসি মৃত শিক্ষকের পরিবারের বরাত দিয়ে আরো জানান, ওই শিক্ষক মানসিক অবসাদে ও হতাশায় নাকি ভুগছিলেন। এ কারণে ফাঁস নিতে পারেন। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!