দৈনিক সময়ের কাগজ সবার সঙ্গে, সব সময়
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের মাজিলা অফিসে সন্ত্রাসী শহিদুল বাহিনী হামলা চালিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি’র ছবি সহ চেয়ার টেবিল ভাংচুর করেছে ৷
জানা যায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পাটিকাবাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন তার মাজিলা বাজার অফিসে বসে শাফায়েত ও শহিদুল ইসলামের পারিবারিক একটি বিবাদ মিমাংশিত করার জন্য মিটিং করছিলো ৷ মিটিং এর এক পর্যায়ে শাহাদত হোসেনের পক্ষের শাফায়েত ও অন্য পক্ষ শহিদুল ইসলাম বাকবিতন্ডে জড়িয়ে পড়ে ৷ বাকবিতন্ড শুরু হওয়ার মূহুর্তেই শহিদুল বাহিনীর ৫/৬ জন অফিসে ঠুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে শাফায়েতকে মারধোর এবং অফিসে টাঙ্গিয়ে রাখা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি’র ছবি সহ চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে পালিয়ে যায় ৷
পাটিকাবাড়ী পুলিশ ক্যাম্প তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন ৷
উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে পাটিকাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুযোগ্য সভাপতি সাইদুর রহমান বিশ্বাস এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন সহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংগঠিত ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান ৷
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সফর উদ্দিন চেয়ারম্যান এ প্রতিবেদককে বলেন শান্ত পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নকে অশান্ত করে তুলতে যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটিয়ে অরাজকতা ও অশান্ত করতে বিবাদ সৃষ্টি করছে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কুষ্টিয়া উন্নয়নের রুপকার জননেতা মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি’র ছবি সহ যারা চেয়ার টেবিল ভাংচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
সরেজমিন পর্যবেক্ষণ শেষে উক্ত ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত মাজিলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলামের সাক্ষাৎকার নিতে তার বাড়ীতে গিয়ে তাকে পাওয়া না গেলে শহিদুল ইসলামের স্ত্রী জমেলা খাতুন এ প্রতিবেদককে বলেন আমার স্বামী শহিদুল সামান্য মাছ ব্যবসায়ী, আমাদের প্রতিবেশী শাফায়েত দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের পরিবারের উপর নির্যাতন করে আসছে, আমরা কিছু বললেই শাফায়েত বাড়ীর গেটে আঘাত, ঘরের চালে ইটপাটকেল মারা সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মান হানিকর কথাবার্তা এমনকি বিভিন্ন সময় খুন করার হুমকী পর্যন্ত দিয়ে আসছে ৷ তার হুমকীর ভয়ে আমরা কাউকে কোন অভিযোগ পর্যন্ত করতে ভয় পায় ৷ বিষয়টি সুরাহার কথা বলে রাতে শাহাদত তার অফিসে আমার স্বামী শহিদুলকে ডেকে নিয়ে যায় এবং সেই মিটিংয়ে উপস্থিত শাফায়েত আমার স্বামীর উপর মারমুখী হয়ে উঠলে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয় ৷ এরই জের ধরে আমার স্বামী ও আমাদের আত্মীয় স্বজনকে মিথ্যা ভাবে ফাঁসিয়ে হয়রানী করতেই তারা এমন নাটক সাঁজিয়েছেন বলে শহিদুলের স্ত্রী জানান ৷
এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহাঙ্গীর আরিফ বলেন আমি উক্ত ঘটনাটি শুনে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছি ৷ সংগঠিত ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধীদের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
