রুপান্তরঃ আব্বাস আলী। ঝিনাইদহ।
তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও বুলগেরিয়ান মিলিটারি
হিমালয় অঞ্চলে ভূখণ্ডের অধিকার নিয়ে চীনের সঙ্গে সংঘাত ভারতকে নতুন জঙ্গিবিমান সংগ্রহের পথে ঠেলে দিয়েছে। গালোয়ান উপত্যকা নামে একটি ভূখণ্ডের অধিকার নিয়ে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জনের বেশি ভারতীয় সেনা নিহত ও ৭০ জনের বেশি আহত হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন সাময়িক ফোর্বস-এ কলামিস্ট ডেভিড অ্যাক্স লিখেন, ফলে ভারত ৭৮০ মিলিয়ন ডলারে রাশিয়ার কাছ থেকে ৩৩টি জঙ্গিবিমান কেনার অর্ডার দেয়ায় বিস্ময়ের কিছু নেই। দুটি স্কোয়াড্রন সজ্জিত করার জন্য এগুলো যথেষ্ঠ।
নয়া দিল্লি ২১টি মিগ-২৯ ও বেশ কয়েকটি সু-৩০ জঙ্গি বিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে বলে জানা গেছে।
ভারত তার বিমানবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করে আসছে। দেশটির প্রতিরক্ষার জন্য অনুমোদিত সংখ্যক স্কোয়াড্রন জঙ্গিবিমান তাদের হাতে নেই।
অ্যাক্স উল্লেখ করেন যে, দেশটি বর্তমান ২৮ স্কোয়াড্রন বিমানকে ৪০ স্কোয়াড্রনে উন্নিত করার চেষ্টা করছে। নতুন ফাইটার কেনা সেই প্রচেষ্টারই অংশ। নয়া দিল্লি মনে করে পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করার জন্য ৪০ স্কোয়াড্রন ফাইটার প্রয়োজন।
ভারতের জঙ্গিবিমান বহরে বিচিত্র ধরনের এয়ারক্রাফট রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ও রাশিয়ান ধরন, ফরাসি মিরেজ ও রাফাল এবং ইউরোপিয়ান জাগুয়ার।
কিন্তু ভারত নতুন করে সু-৩০ ও মিগ-২৯ কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় বিস্ময় প্রকাশ করেন এভিয়েশন এক্সপার্ট টম কুপার। তার মতে সু-৩০ শুধু কাগজেই চমৎকার কিন্তু এগুলোর পারফরমেন্স ও যুদ্ধ করার দক্ষতা পশ্চিমা বিমানের তুলনায় কম।
অ্যাক্স বলেন, কয়েক দশক ধরে ভারতের মিরেজ-২০০০ বিমানগুলো সু-৩০-এর চেয়ে ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। ফরাসি রাফালেও ভালো। কিন্তু এ ধরনের মাত্র ৩৬টি বিমানের অর্ডার দিয়েছে ভারত।
ফোর্বস লিখে, সু-৩০ জঙ্গিবিমানে সর্বশেষ হাই প্রিসিসন এয়ার-টু-গ্রাউন্ড এমিউনিশন নেই। তাছাড়া এগুলো ভারতের সীমান্তবর্তী উচ্চভূমিতেও তেমন ভালো সাপোর্ট দিতে পারবে না।
তারচেয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য মিগ-২৯ ভালো। তাই বলে পুরনো মডেলের মিগ-২৯ কেনা নয়া দিল্লির জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হয়নি।
তাই চীনা সেনাবাহিনীর অগ্রযাত্রা রুখতে ভারতীয় বিমানবাহিনী কেন রাশিয়ান ফাইটার কিনছে সেই প্রশ্ন আমেরিকান বিশেষজ্ঞের।
ভারতীয় কোম্পানি এইচএএল লাইসেন্স নিয়ে ভারতেই সু-৩০সি তৈরি করছে।