রুপান্তরঃ আব্বাস আলী। ঝিনাইদহ।
তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন গণমাধ্যম
লিবিয়া ইস্যুতে যুক্ত হয়ে নিজ দেশে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন, এমনটাই বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের লেহাই ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হেনরি বারকে। তার মতে জাতীয়তাবোধ থেকেই লিবিয়া ইস্যুতে তৎপর হয়েছে তুরস্ক। এতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো নারাজ হলেও ওই অঞ্চলে তুর্কির প্রভাব বাড়ছে।
হেনরি বারকে বলেন, লিবিয়ার বিভিন্ন ঘাঁটিতে সরাসরি সেনা মোতায়েন করেছে তুরস্ক। বিষয়টি তারা লোক চক্ষুর আড়ালে করেনি। এতে করে লিবিয়ায় জনপ্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি তুরস্কেও তার কদর বেড়েছে। এতে খোদ এরদোয়ানেরই লাভ হয়েছে। তুরস্কের পার্শ্ববর্তী অন্যান্য রাষ্ট্রেও তার নেতৃত্বগুণের চর্চা হচ্ছে। সঙ্গে বাড়ছে তুর্কির প্রভাব।
ক্ষমতা দখল নিয়ে দীর্ঘদিন লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল একোর্ড, জিএনএ -এর সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি, এলএনএ। জিএনএ-কে সমর্থন দিচ্ছে তুরস্ক। অপরদিকে এলএনএ-কে সমর্থন দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, সৌদি আরব, ফ্রান্সের মতো রাষ্ট্র।
তুর্কির সম্পর্কের শুরু হয় ভূ-মধ্য সাগরে দুইদেশের সীমান্তবর্তী গ্যাস ক্ষেত্রগুলো নিয়ে জিএনএ ও তুর্কি সরকারের একটু চুক্তির মাধ্যমে। এরপর থেকেই লিবিয়ায় জিএনএ’র কর্তৃত্ব স্থায়ীকরণের জন্য সহায়তা শুরু করে তুরস্ক।
এরদোয়ানের সমর্থনে জিএনএ গত কয়েক সপ্তাহে এলএনএ’র দখলে থাকা বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছে। তাদের লক্ষ্য আরো কিছু ঘাঁটি ও অঞ্চল দখল করা। এতে করে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এলএনএ। জিএনএ’র এই কর্মকাণ্ড এরদোয়ানের প্রভাবকে আরো বিস্তৃত করেছে।