Thursday , May 22 2025
You are here: Home / ঢাকা ও ময়মনসিংহ / ফুলবাড়ীয়া কেশরগঞ্জ বাজারে জলাবদ্ধতায় জনসাধারণের দূর্ভোগ
ফুলবাড়ীয়া কেশরগঞ্জ বাজারে জলাবদ্ধতায় জনসাধারণের দূর্ভোগ

ফুলবাড়ীয়া কেশরগঞ্জ বাজারে জলাবদ্ধতায় জনসাধারণের দূর্ভোগ

মোঃ হাবিবুল্লাহ হাবিব, ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কেশরগঞ্জ বাজারে পানি নিস্কাশনের একমাত্র ড্রেনটির ময়লা-আবর্জনা আটকে বেহাল অবস্থা থাকায় বাজার ও আশপাশ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনদূর্ভোগ বাড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পলাশীহাটা স্কুল এন্ড কলেজ রোড, পলাশীহাটা দাখিল মাদ্রাসা মাঠ, আনোয়ারুল ইসলাম (মঞ্জু) তালুকদারের বাসা সংলগ্ন এলাকা সহ বাজারের বিভিন্ন স্থানে পানিতে একাকার হয়ে যায়।
বাজারের একমাত্র সরু ও অগভীর ড্রেনটি ময়লা-আবর্জনা আটকে পানি নিস্কাশনে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা আজ সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই বাজারের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে পাকা সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে যানবাহন ও জনগণের চলাচলে এমনকি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপকভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে।
কেশরগঞ্জ বাজারে রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি চারটি ব্যাংকের শাখা, রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন এনজিও, বেসরকারি সংস্থার স্থানীয় অফিস সহ হাজার হাজার দোকানপাট। সড়কের উপর পানি জমে থাকায় বাজারের প্রধান সড়ক সহ ভিতরের ইট বিছানো রাস্তাগুলো খুব দ্রুত সময়েই খানাখন্দে পরিণত হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। বাজারটিতে পয়ঃনিষ্কাশনের জন্যে একটি গভীর ও প্রসস্থ ড্রেন খননের ব্যবস্থা করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে বাজারের ব্যবসায়ী মহল ও ক্রেতা-বিক্রেতা সহ ভূক্তভোগীরা।
পলাশীহাটা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এ,কে,এম শামছুল হক বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই বাদীহাটী রোডে কলেজ গেটের সামনে পানি জমে একাকার হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কলেজে প্রবেশকালে বিভিন্ন যানবাহন চলার সময় কাঁদা-পানি ছিঁটকে ছাত্র-ছাত্রীর শরীরে লেগে জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস না করে বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কিছুটা রেহাই পেলেও ভোগান্তি থেকে রেহাই পাচ্ছেনা সাধারণ জনগণ।
কলেজটির গভর্ণিংবডির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলজিডি অফিসে যোগাযোগ করেছি এবং তারাও জলাবদ্ধতা স্থল পরিদর্শন করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বাজারের প্রধান ড্রেনটি আরও গভীর করে খননের পর সাব-ড্রেনের মাধ্যমে পানি জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।
বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি অব: সৈনিক আলহাজ্ব মোঃ আঃ খালেক বলেন, আমি বাজার তহবিল থেকে একবার ২০ হাজার টাকা খরচ করে ড্রেনটির ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করেছিলাম। এ ব্যাপারে আমি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি। তিনি নতুন করে ড্রেন করে দিবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন।

১নং নাওগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আ. রাজ্জাক বলেন, এই সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে আমি ইউএনও মহোদয় এবং উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের সাথে কথা বলেছি। উক্ত জলাবদ্ধতা নিরসনে আমি এডিপির একটি প্রকল্পও দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা কোন কারণে হয়নি। আগামীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেকোন প্রকল্প দিয়ে এই জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ছিদ্দিক বলেন, বাজার ইজারাদারের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

About দৈনিক সময়ের কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top
error: Content is protected !!