পাবনা অফিস :
ভাঙ্গুড়ায় গৃহবধু মিনার হত্যর ঘটনায় ইউডি মামলার পরিবর্তে হত্যা মামলা রুজুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার দুপুরে ভাঙ্গুড়া বাজার রেল চত্তর বকুল তলা এ মানববন্ধনে উপজেলার মন্ডুতোষ ইউনিয়নের সকল স্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। এতে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজাদ খান,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান তারেক,মন্ডুতোষ গ্রামের নুর ইসলাম মিন্টু, ,মৃত গৃহবধুর খালা শিল্পী খাতুন,মামা সাহেব আলী প্রমুখ। তারা বলেন,গত ২২ জুন রান্না ঘরের ডাবের সাথে গলায় দড়ি পেচানো অবস্থায় মন্ডুতোষ গ্রামের গৃহবধু মিনা খাতুন (৩৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয় তা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। কিন্তু পুলিশ এটাকে অপমৃত্যু মামলা হিসাবে রেকর্ড করেছে। ইউনিয়নবাসীর অভিযোগ মিনাকে তার স্বামী আব্দুল খালেক তার ভাইদের সহায়তায় হত্যা করে এবং পরে ডাবের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিল। গ্রামবাসীরা জানান, মিনার তিন নাবালক পুত্র রয়েছে। মায়ের মৃত্যুর পর তারা অসহায় হয়ে পড়েছে।
জানাগেছে, মিনা খাতুনকে বিয়ের পর তার লোভী স্বামী আব্দুল খালেক শ্বশুরের সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে লিখে চায়। মিনা একমাত্র সন্তান হওয়ায় পিতা মন্তাজ আলী তার ১২ বিঘা জমি মেয়ের নামে দানপত্র রেজিস্ট্রি করে দেন। কিন্তু মিনার স্বামী ওই জমি আবার তার নামে লিখে দিতে বলে। এতে মিনা রাজি না হওয়ায় প্রায়ই তাকে অমানুষিক নির্যাতন করতো। পরে আব্দুল খালেক দ্বিতীয় বিয়ে করে তাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান এবং সেখানে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। এতে দু:খ পেয়ে মিনার বাবাও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। বক্তারা বলেন, ঘটনার আগের দিন রাতে আব্দুল খালেক বাড়ি আসেন এবং ভাইদের সহায়তায় মিনার উপর নির্যাতন চালায়। এতে সে মারা গেলে পরে গলায় দড়ি পেচিয়ে ঘরের ডাবের সাথে ঝুলিয়ে রেখে গা ঢাকা দেয়।
মানববন্ধনে এই ঘটনা আত্মহত্যার পরিবর্তে থানায় হত্যা মামলা রুজু করে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
মন্ডুতোষ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন,মিনা খাতুনকে হত্যা করা হয়েছে বলে গ্রামবাসী আমার নিকটও অভিযোগ করেছে।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো:নাজমুল হক বলেন,প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। তবে লাশ পোস্ট মর্টেম করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যার প্রমাণ মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
